রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে রাজকুমারী

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুরো বিশ্বের সঙ্গে ইউরোপের দেশ সুইডেনেও লড়ছে প্রাণঘাতি করোনার বিরুদ্ধে। সেই লড়াইয়ে রাজপ্রাসাদ থেকে বেরিয়ে এসে হাসপাতালে এসেছেন রাজকুমারী। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই করছেন মানুষের সেবা।

রাজধানী স্টকহোমের একটি হাসপাতালে অন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা এই নারী হলেন সুইডেনের রাজকুমারী সোফিয়া।

করোনা ভাইরাসের এই সংকটকালে অনলাইনে একটি কোর্স করার পর স্টকহোমের সোফিয়াহেমেট হাসপাতালে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী রাজকুমারী সোফিয়া। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিতেই এমন পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন সোফিয়া।

যদিও রাজকুমারী সোফিয়া সরাসরি ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় অংশ নেবেন না। বরং হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের সহযোগী হিসেবে নানা কাজ করবেন। এছাড়াও তিনি হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করার কাজ, যন্ত্রপাতি পরিষ্কার, রান্নাঘরে সহযোগিতার মতো কাজও করবেন।

যাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কোনো পূর্বঅভিজ্ঞতা নেই অথচ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে চান এমন ৮০ জনকে হাসপাতালটি প্রতি সপ্তাহে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। চাইলে সবাই সেই প্রশিক্ষণও নিতে পারেন। তেমনই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন রাজকুমারী সোফিয়া।

দেশটির হাসপাতালগুলো চাইছে আরও বেশি করে মানুষ তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য। কারণ করোনার প্রকোপ শুরু হতেই হাসপাতালগুলোতে ক্রমেই চাপ বেড়েই চলেছে। যে কারণে যারা সরাসরি চিকিৎসার কাজে যুক্ত তাদের অন্য কাজগুলোর চাপ কমাতেই এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

ইন্টারনেট দুনিয়ায় সোফিয়ার এই বিষয়টি এখন মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। রাজপ্রাসাদ ছেড়ে সোফিয়ার এমন উদ্যোগ প্রশংসাও কুড়াচ্ছে। তার প্রথম দিনের কাজের বেশ কিছু ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পোস্ট করা হয়। যেখানে তাকে হাসপাতালের ইউনিফর্ম পরে সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতেও দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, ৪০ বছর বয়সী যুবরাজ কার্ল ফিলিপের স্ত্রী হলেন রাজকুমারী সোফিয়া। কার্ল ফিলিপ হলেন সুইডেনের রাজ সিংহাসনের চতুর্থ উত্তরাধিকার।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।