দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের ঐতিহ্য কি আটকাতে পারবে করোনার এই মারণযাত্রাকে? সেই পথেই এবার হাঁটতে চলেছে ভারত। আয়ুর্বেদ নিয়ে এবার লড়াইয়ের আসরে নামছে সরাসরি মোদী সরকার।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ৩টি ওষধি গাছ নিয়ে পরীক্ষার পথ খুলতে চলেছে। আয়ুষ মন্ত্রক জানিয়েছে, কাউন্সিল অফ সায়েন্টেফিক অ্যাণ্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের সঙ্গে একযোগে এই কাজ শুরু করা হবে। অশ্বগন্ধা, মুলেঠি এবং গুডুচি-এই ৩টি গাছ নিয়ে ওষুধ বানানোর কাজ শুরু করা হবে বলে খবর বেরিয়েছে।
ওই ৩টি ওষুধি গাছই হলো ম্যালেরিয়ার অব্যর্থ দাওয়াই। এই নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে যে এগুলি এবার করোনা প্রতিরোধে কাজে লাগানো যাবে নাকি। মনে করা হচ্ছে যে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এই ওষুধি গাছগুলি সফলভাবেই কাজ করবে। উল্লেখ্য যে, এগুলি দিয়েই তৈরি আয়ুষ-৬৪। হাইড্রোস্কিক্লোরোকুইনের মতো অ্যান্টি ম্যালেরিয়া ওষুধও ব্যবহার করা হচ্ছে করোনা ঠেকানোর জন্য। দেশটির কেন্দ্র মনে করছে আয়ুষ-৬৪ও ওই একই কাজ করবে।
বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের তরফ হতে প্রস্তাব পাওয়ার পরেই কাজ শুরু করার চিন্তা ভাবনা করা হয়। মুম্বাই, দিল্লি, লখনউ সহ বিভিন্ন শহরের হাসপাতালগুলি আয়ুর্বেদ নিয়ে কাজ করতে চলেছে। উল্লেখ্য যে, আয়ুষ মন্ত্রক আয়ুর্বেদ, যোগ, ন্যাচেরোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, ইউনানি এবং সিদ্ধার ভূমিকা তুলে ধরতে চান তারা। যদিও একাদিকবার সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাদেরকে। মন্ত্রক জানিয়েছে যে, এই ট্রায়াল চলবে ১৫ দিন ধরে এবং দুটি পদ্ধতিতে। একদিকে শুধু আয়ুর্বেদিক ওষুধ খাবেন রোগি।
অপরদিকে অ্যালোপ্যাথি ওষুধের সঙ্গে চলবে আয়ুর্বেদিক ওষুধের ডোজও। সেজন্য গঠন করা হয়েছে ১৭ সদস্যের কমিটি। ইউজিসির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ভূষণ পটবর্ধনের নেতৃত্বে কমিটি এই কাজের তদারকি করবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।