দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ক্রোম ব্রাউজারের সাম্প্রতিক হালনাগাদে ত্রুটির কারণে প্রায় ২০০ কোটি ব্যবহারকারীকে সতর্ক করেছে এই ব্রাউজার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুগল। সম্প্রতি ফোর্বস ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
ফোর্বসের ওই প্রতিবেদনে বলা হয় যে, সাম্প্রতিক সময় ২০০ কোটি ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার কথা ভেবেই ক্রোম ব্রাউজার হালনাগাদ করা হয়েছিল। তবে এতে বেশ কিছু বিতর্কিত পরিবর্তন, নিরাপত্তা সমস্যা এবং তথ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যে কারণে ক্রোম ব্রাউজারের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ে পড়েন বহু ব্যবহারকারী। সে কারণে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ক সমস্যার বিষয়ে সতর্ক করেছে গুগল।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, গুগলের পক্ষ হতে দ্রুত নিরাপত্তা ত্রুটি হতে রক্ষার জন্য এই ব্রাউজারে আরও একটি হালনাগাদ দেওয়া হয়েছে। ক্রোম ব্রাউজারের এই হালনাগাদ দ্রুত ইনস্টল করার জন্য গুগল ব্যবহারকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান সফোস এই বিষয়ে আরও জানায়, গুগল অনেকটা নীরবেই আগের হালনাগাদ জনিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে উইন্ডোজ, ম্যাক এবং লিনাপের জন্য ক্রোম ব্রাউজারের গুরুতর নিরাপত্তা সমস্যার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে। এ ছাড়াও দ্রুত ক্রোম ব্রাউজার হালনাগাদ করার পরামর্শও দেয়। ক্রোমের নতুন সংস্করণটি (৮১.০.৪০৪৪.১১৩) হালনাগাদ না করলে ব্রাউজার দুর্বৃত্তদের কবলে পড়তে পারে বলেও তারা সতর্ক করেছেন।
অবশ্য একটি নিরাপত্তা ত্রুটি ছিল। এটি স্পিচ রিকগনাইজারে ইউজ আফটার ফ্রি নামে বাগ। সফোসের ব্যাখা অনুযায়ী জানা যায়, ক্রোম ব্রাউজারে যে ত্রুটি ছিল সেটি হচ্ছে সিভিই-২০২০-৬৪৫৭। এটি প্রোগ্রামের ভেতর নিয়ন্ত্রণ প্রবাহ পরিবর্তন করেও ফেলতে পারে। এটি সিপিইউকে অবিশ্বস্ত কোড চালানোর নির্দেশও দিতে পারে যা বাইরে থেকে মেমোরির মাধ্যমে ডিভাইসে ঢোকানো সম্ভব। এতে ব্রাউজারের স্বাভাবিক নিরাপত্তা পরীক্ষা সংলাপকে সহজেই পাশ কাটিয়ে দূরে বসেই সাইবার দুর্বৃত্তরা পিসিতে কোড চালাতে সক্ষম হবে।
সে কারণেই গুগল ক্রোমের (৮১.০.৪০৪৪.১১৩) নতুন সংস্করণটি ইতিমধ্যেই উইন্ডোজ, ম্যাক এবং লিনাপের জন্য উন্মুক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। ক্রোমের ডান কোনায় ৩টি ডট চিহ্নে ক্লিক করে হেল্প হতে অ্যাবাউটে গেলে ক্রোমের সংস্করণটি দেখা যাবে। এখান থেকেই নির্দেশনা অনুযায়ী ক্লিক করার মাধ্যমে ক্রোম ব্রাউজার হালনাগাদ করা যাবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।