দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এই অবস্থায় স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী আছেন দেশের সাধারণ মানুষ। এমন এক পরিস্থিতিতে জাহিদ হাসান বলেছেন, আমরা একটা খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।
লকডাউনের দিনগুলো প্রায় সবাই পরিবারের সঙ্গেই কাটাচ্ছেন। অন্যদের মতো ঘরেই রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান। লকডাউনের সময়গুলো পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন এই অভিনেতা।
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমরা একটা খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যা’চ্ছি। আমার বিশ্বাস, এই সময়টা খুব বেশি দিন হয়তো থাকবে না। সর্বশেষ গত ১৮ মার্চ নাটকের শুটিং করেছি। এরপর হতেই ঘরে বসে আছি। সবার সঙ্গে দারুণ একটা সময় কাটাচ্ছি। এই সময় মনোবল হারালে চলবে না, হতাশ হলেও চলবে না।’
জাহিদ হাসান আরও বলেন, ‘আমরা অভিনয়শিল্পীরা শুটিংয়ের কারণে পরিবারকে কখনও ঠিকমত সময় দিতে পারি না। তাই এই লকডাউন পরিবারের সঙ্গে কাটানোর দারুণ একটা সুযোগ এসেছে। সেইসঙ্গে নিজের কাজগুলো টুকটাক করে এগিয়ে নিচ্ছি। নিয়মিত টিভিতে সংবাদ দেখছি। ছবি দেখছি, বই পাড়’ছি, প্রার্থনা করছি- এভাবেই আমার দিনগুলো কেটে যাচ্ছে।’
করোনার তাণ্ডবের কারণে পরিবারের সঙ্গে দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনাও ভেস্তে গেছে জাহিদ হাসানের। জনপ্রিয় এই অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘পরিবার নিয়ে কানাডায় যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল। তবে এখন তো আর তা হলো না। তাছাড়াও হাতে বেশ কিছু নাটকের কাজও ছিল, যা করোনার কারণে আটকে গেলো।’
করোনা দুর্যোগের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। ইতিমধ্যেই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন জাহিদ হাসান। জানা যায়, রাজধানীর পাশাপাশি নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জে দু:স্থ মানুষদের সহায়তা করে যাচ্ছেন এই অভিনয় শিল্পী। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে ত্রাণ কর্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তিনি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদ হাসান জানান, ‘করোনার এই সময়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো খুবই জরুরি। আমি কোথায়, কী পরিমাণে ত্রাণ দিচ্ছি? এসব বলার কোনো মানেই নেই। সবাইকে আহ্বান করবো, নিজ নিজ অবস্থান থেকে ওদের পাশে দাঁড়ান। সকলের ভালোবাসায় আমরা একটি সুন্দর পৃথিবী গড়বো।’
তথ্যসূত্র: আমাদের সময়
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।