দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনা দুর্যোগকালীন এপ্রিল মাসে যারা রিচার্জ করতেই পারেননি কিংবা ব্যালেন্স খুবই কম এমন গ্রাহকদের ১০ কোটি মিনিট ফ্রি টক টাইম দিচ্ছে গ্রামীণফোন।
জরুরি সেবাদাতা হিসেবে গ্রামীণফোন এই সময়ে সাড়ে ৭ কোটি গ্রাহকের জন্য সকাল ৮টা হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রতি মিনিট কলরেট ৪৮ পয়সা করেছে।
শুক্রবার বিকেলে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্যটি জানিয়েছেন, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান।
ইয়াসির আজমান আরও বলেন, দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে আমাদের আগে কখনও এমন সংকটপূর্ণ অবস্থার মুখোমুখি পড়তে হয়নি। এমন একটি সংকট আসবে ও সেটি এভাবে আমাদের জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, সেটি আমরা কেওই চিন্তা করতে পারেনি। তাই এখন সময় সবাইকে এক সঙ্গে এর মোকাবিলা করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারি নানা কর্তৃপক্ষসহ, উন্নয়ন সংস্থাসহ সামগ্রিকভাবে শিল্পখাতের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আমাকে সত্যিকারভাবে উৎসাহিত করেছেন। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আজ পর্যন্ত গ্রামীণফোনের মোট প্রতিশ্রুত উদ্যোগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০০ কোটি টাকা। গ্রামীণফোন শুরু হতেই কোভিড-১৯ এর পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যালোচনা করে আসছে এবং সেই অনুযায়ী প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নানা উদ্যোগের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলায় অবদান রেখে আসছে।
এই প্রতিকূল সময় গ্রাহক সেবাদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন গ্রামীণফোনের খুচরা ব্যবসায়ীরাও। তাদের কথা চিন্তা করে এই সঙ্কটের সময় ক্ষতিগ্রস্ত খুচরা ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গ্রামীণফোন ১০ কোটি টাকা সমমানের সেফটি-নেট ক্রেডিট স্কিমের ঘোষণাও দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় যে, দেশের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তায় গ্রামীণফোন এবং ব্র্যাকের যৌথ প্রচেষ্টা ‘ডাকছে আমার দেশ’ উদ্যোগের কার্যক্রমও এগিয়ে চলেছে। এই কার্যক্রমে গ্রামীণফোন ইতিমধ্যে ১ লাখ পরিবারকে ১৫ কোটি টাকার খাদ্যসহায়তাও দিয়েছে।
তাছাড়াও করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্ধারিত হাসপাতালে গ্রামীণফোন ৫০ হাজার প্রফেশনাল পিপিই দিয়েছে। এই সময় গ্রামীণফােনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব, প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা খায়রুল বাসারও অংশ নেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।