দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তাঁকে দেখে চেনা মুশকিল, কারণ তার মুখ ভর্তি পাকা দাড়ি। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। ঠোঁটে লেগে রয়েছে এক চিলতে হাসি। এমন এক ব্যতিক্রমি লুকেই দেখা গেছে গুণী অভিনেতা-নির্মাতা আফজাল হোসেনকে।
যে কেও প্রথম দৃষ্টিতে হয়তো তাকে চিনতেই পারবেন না। কারণ এই লুকে আগে কখনও তাকে দেখা যায়নি। করোনার কারণে ঘরবন্দি থেকে দাড়ি না কাটায় এই লুক আপনাআপনি তৈরি হয়েছে জনপ্রিয় এই অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেনের।
করোনার তাণ্ডবে শুটিং রয়েছে পুরোপুরি বন্ধ। অন্য সবার মতোই ঘরবন্দি জীবন কাটছে এই চিত্রশিল্পী আফজাল হোসেনের। বর্তমানে তিনি নগরীর নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। কোনো ব্যস্ততা নেই, হাতে তার অখন্ড অবসর রয়েছে। এই সময় নিজের ভালো লাগার কাজগুলো করছেন ঘরে বসেই। সবকিছুর মাঝে ছবি আঁকার কাজটিও বাদ যাচ্ছে না তাঁর।
এমন এক পরিস্থিতিতে আফজাল হোসেন বলেন, ‘পেশাদারিভাবে মিডিয়ায় কাজ শুরুর পর হতে এখনকার মতো এতো অবসর আর কখনও পাইনি। যেহেতু এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার কোনো ক্ষমতা আমাদের কারও হাতে নেই, তাই লোক সমাগম এড়িয়ে বাসায় অবস্থান করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তাই এই সময়টায় নিজের ভালোলাগার কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করছি। যতোদিন পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটবে, ততোদিনই এই রুটিন অনুযায়ীই চলবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘরবন্দি হওয়ার পর হতে চুল দাঁড়ি কাটার ইচ্ছাই জাগেনি। এরা বেশ বড়সড় হয়ে চেহারাটা অন্যরকম বানিয়ে দিয়েছে। সময়ের চাপ ও বন্দিদশায় আনন্দের ঘটনা তো তেমন একটা ঘটে না, সুযোগও নেই। পুরোনো চেহারায় নতুনত্ব রোজ কিছু না কিছু আনন্দ দিচ্ছেই।’
তিনি বলেন, ‘আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে এখন প্রায়ই ভিডিও কল করেই কথা বলি। অনেকদিন পর যখন প্রথম কারও সঙ্গে কথা হয় প্রথম দর্শনে ও প্রান্তের মানুষের হা হওয়া দেখতে বেশ ভালোই লাগে।’
উল্লেখ্য, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ‘ছোট কাকু’ সিরিজের নাটক নির্মাণের পরিকল্পনা করেন আফজাল হোসেন। তবে করোনা সংকট তা অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দিয়েছে। অপরদিকে তার পরবর্তী সিনেমা ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’ সিনেমার শুটিংও প্রায় শেষ করেছেন তিনি।
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দোপাধ্যায়ের জীবন কাহিনী নিয়ে কবি এবং ছড়াকার আনজীর লিটন রচনা করেছেন ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’ নামে এই উপন্যাস। এটি অবলম্বনে নির্মিত হতে চলেছে চলচ্চিত্রটি। এটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনাট্যকার মাসুম রেজা।
তথ্যসূত্র: একুশে টেলিভিশন
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।