দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের অনেক দেশই করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করায় লকডাউন শিথিল করতে শুরু করেছে। যদিও এর মাশুলও দিচ্ছে অনেক দেশ। তবে ডেনমার্কে লকডাউন শিথিলের পরও সংক্রমণ বাড়েনি।
বেশ কিছু দেশেই লকডাউন শিথিলের পর হু হু করে আক্রান্তের সংখ্যা পুনরায় বাড়তে শুরু করে। তবে এর ব্যতিক্রম হলো ডেনমার্ক। দেশটিতে লকডাউন শিথিলের পরও কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ সেভাবে বাড়েনি। গত মাসে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন শিথিল করে ডেনমার্ক।
এশিয়ার বাইরে প্রথম দেশ হিসেবে ডেনমার্কে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন শিথিলের অংশ হিসেবে রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, শপিংমল ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত এপ্রিল মাসে প্রথম দফার লকডাউনে দেশটিতে ডে কেয়ার সেন্টার, স্কুল, সেলুন ও কিছু ছোট ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, এখনও সংক্রণের মাত্রা অনেকটাই কম। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে যে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা আরও বাড়ানো হলেও নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে দেশটিতে।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের পরিসংখ্যান বলছে যে, ডেনমার্কে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ১৬। এর মধ্যে মারা গেছে ৫৯৩ জন। তবে ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ হাজার ৯০৪ জন। দেশটিতে করোনার অ্যাক্টিভ কেস হলো ৫১৯টি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।