দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০ খৃস্টাব্দ, ২৯ জৈষ্ঠ্য ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ১৯ শাওয়াল ১৪৪১ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
ঠাকুরপুর জামে মসজিদ ঐতিহ্য ও নান্দ্যনিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার একটি অন্যতম প্রাচীন ইসলামিক স্থাপত্য নিদর্শন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহর হতে ২ কিলোমিটার দূরে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের পার্শ্ববর্তী ঠাকুরপুর গ্রামে অবস্থিত ঠাকুরপুর জামে মসজিদটি বর্তমানে পীরগঞ্জ জামে মসজিদ হিসেবে অধিক সুপরিচিত।
মসজিদের মূল অংশ নির্মাণের ব্যাপারে প্রকৃত তথ্য পাওয়া না গেলেও স্থানীয় প্রবীণদের ধারণা মতে, ১৬৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ হতে সাধক পুরুষ হযরত আফু শাহ্ ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দ্যেশ্যে ঠাকুরপুরে এসে খানকা স্থাপন করেছিলেন। তিনি জীনদের সাহায্যে এক রাতের মধ্যেই নাকি এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। সে কারণে স্থানীয় অনেকেই এই মসজিদটি “জিনের মসজিদ” হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন।
এক তথ্যে জানা যায়, প্রায় ৩০ বিঘা জমির উপর স্থাপিত ঠাকুরপুর জামে মসজিদে প্রবেশ করলেই আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত একটি প্রবেশ তোরণ চোখে পড়বে। মসজিদের পিছনে রয়েছে একটি বড় আকারের পুকুর, সারি সারি নারিকেল গাছ ও কবরস্থান। লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে যে, প্রতি বৃহস্পতিবার এই মসজিদে জীনেরা নামায পড়ে ও মানুষের রেখে যাওয়া তেল বা পানি দোয়া পড়ে ফুঁ দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়দের বিশ্বাস এই পানি বা তেল পরা তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে থাকে। মূল কাঠামো ঠিক রেখেই বিভিন্ন সময় মসজিদের সংস্কার করা হয়েছে ও প্রায় ৩০০ বছরের ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রতি বছর বাংলা মাসের ১২ ফাল্গুন এই মসজিদ প্রাঙ্গণে বার্ষিক ওরশের আয়োজন করা হয়। এই সময় দূর দূরান্ত হতে অসংখ্য দর্শনার্থী ঐতিহ্যবাহী এই ঐতিহাসিক মসজিদটি দেখতে আসেন।
তথ্যসূত্র: vromonguide.com
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।