দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে আগামী ২১ জুন। পূর্ণগ্রাস বা খণ্ডগ্রাস নয়, বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণই দেখা যাবে এবার।
আর ঠিক তখন আকাশেই তৈরি হবে ‘রিং অব ফায়ার’। সর্বোচ্চ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ভারতের যোশীমঠ শহর হতে। তবে বাংলাদেশ থেকেও এই আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। সূর্যগ্রহণটি প্রথম শুরু হবে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের ইম্পফোন্ডো শহর হতে।
এবারের এই সূর্যগ্রহণ নিয়েও সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নাসার বিজ্ঞানীরা এই সূর্যগ্রহণ মানুষকে খালি চোখে দেখতে নিষেধ করেছেন। এমনকি তারা সানগ্লাস বা এক্স-রে প্লেটও ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে টেলিস্কোপের সাহায্যে দেখার ক্ষেত্রে সাবধনতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
এবারের সূর্যগ্রহণের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত সতর্কতা নিতে বলার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এই সূর্যগ্রহণ প্রকৃতপক্ষে আংশিক নয়, আবার এটি পূর্ণগ্রাসও নয়। ২১ জুন যে সূর্যগ্রহণটি হবে, তা মূলত বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। বিজ্ঞানিরা বলেছেন যে, এটি খালি চোখে দেখলে চোখ খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে, এমনকী অন্ধত্ব হওয়াও বিচিত্র নয়।
বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ অর্থাৎ চাঁদ সূর্যকে একেবারে ঢেকে ফেলবে। তবে চাঁদের আয়তন ছোট হওয়ায় সূর্য চাঁদের পাশ দিয়ে আলোর বিকিরণ ঘটাবে। যে কারণে আকাশে আংটির মতো আকৃতি (রিং) তৈরি হবে। ইংরেজিতে যাকে বলা হচ্ছে ‘রিং অব ফায়ার’।
তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, পিনহোল প্রজেক্টর দিয়ে সাদা কাপড়ে ছায়া ফেলে গ্রহণটি দেখা যাবে। এছাড়াও গ্রহণ দেখার জন্য আই প্রোটেকশন গিয়ারও অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
২১ জুন সকাল ৯টা ৪৬ মিনিট ৬ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের ইম্পফোন্ডো শহরটিতে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের বোমা শহরে বেলা ১০টা ৪৮ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের সময়। সর্বোচ্চ গ্রহণ হবে ওইদিন ভারতের যোশীমঠ শহরে বেলা ১২টা ৪০ মিনিট ৬ সেকেন্ডে অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় ১টা ২০ মিনিট ৬ সেকেণ্ড। কেন্দ্রীয় গ্রহণ শেষ হবে ফিলিপিন্সের সামার শহরে বেলা ২টা ৩১ মিনিট ৪২ সেকেন্ড সময়ে।
যদিও এই গ্রহণ বাংলাদেশের স্থান ভেদে সময়ের কিছুটা পার্থক্যও রয়েছে। তবে ঢাকা বিভাগে বেলা ১১টা ২৩ মিনিট ৩ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণ শুরু হয়ে ২টা ৫২ মিনিট ৩ সেকেন্ডে এটি শেষ হবে, ময়মনসিংহে ১১টা ২৩ মিনিট ২ সেকেন্ডে শুরু হয়ে এটি ২টা ৫১ মিনিট ২ সেকেন্ডে শেষ হবে, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১টা ২৮ মিনিট ১২ সেকেন্ডে শুরু হয়ে ২টা ৫৫ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে এটি শেষ হবে।
তাছাড়াও সিলেট বিভাগে ১১টা ২৭ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণ শুরু হয়ে ২টা ৫৪ মিনিট ৫২ সেকেন্ডে শেষ হবে, খুলনায় ১১টা ২০ মিনিট ১৯ সেকেন্ডে শুরু হয়ে এটি ২টা ৫০ মিনিট ৯ সেকেন্ডে শেষ হবে, বরিশালে ১১টা ২৩ মিনিট ৫ সেকেন্ডে শুরু হয়ে এটি ২টা ৫২ মিনিট ১ সেকেন্ডে শেষ হবে, রাজশাহীতে ১১টা ১৭ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে শুরু হয়ে এটি ২টা ৪৭ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে শেষ হবে এবং রংপুরে বেলা ১১টা ১৭ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণ শুরু হয়ে ২টা ৪৮ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে শেষ হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।