দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী হওয়ার অহঙ্কার আর কখনও পৃথিবীর মানুষ করতে পারবে না। আরও কয়েক ডজন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যেখানে মানুষের মতোই কিংবা তার থেকেও উন্নত এবং বুদ্ধিমান প্রাণী বসবাস করার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে, এই অসীম মহাবিশ্বে আমরাই একা নই। মিল্কিওয়ে ছায়াপথেই রয়েছে আমাদের মতোই অন্তত কয়েক ডজন প্রতিবেশী। শুধু আমরাই রয়েছি একটু ছাড়া ছাড়া ভাবে। গ্রহান্তরের জীব নিয়ে মানুষের কল্পনা চিরকালই যেনো লাগামছাড়া ভাব।
এখনও মহাশূন্যের দিকে তাকিয়ে বহু মানুষই মাঝে মধ্যেই দেখে ফেলেন উড়ন্ত চাকি কিংবা অভূতপূর্ব আলোকরেখা। তবে নির্দিষ্টভাবে কোনও গবেষণাই আজ পর্যন্ত পৃথিবী ছাড়াও অন্য গ্রহে প্রাণ রয়েছে এমন নিশ্চয়তা কখনও দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে নটিংহ্যাম ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন আমাদের ছায়াপথে অন্ততপক্ষে ৩০টি গ্রহে রয়েছে, যেখানে বুদ্ধিমান প্রাণীর বসবাস। তাদের সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্বটা একটু বেশি এটুকুই পার্থক্য। প্রতিবেশীরা গড়ে ১৭,০০০ আলোকবর্ষের দূরত্বেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন।
এযাবতকাল বিজ্ঞানীরা যা নিশ্চিত করে কখনও বলতে পারেননি, সেই কথা এতোটা নিশ্চিত করে এখন নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন তাহলে কী ভাবে? উত্তরটা বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন। এতোদিন যে পদ্ধতিতে গ্রহান্তরে প্রাণের সন্ধান করা হতো, বিজ্ঞানীরা সেই পদ্ধতিতে বেশ বদল এনেছেন। বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক অনুমান হলো, যেভাবে পৃথিবীতে উন্নত প্রাণীর বিকাশ ঘটেছে সেই একইভাবে অন্য গ্রহেও বুদ্ধিমান অনেক প্রাণের বিকাশ হবে যদি সেই গ্রহের পরিবেশ পরিস্থিতি পৃথিবীর মতোই হয়।
সেই গ্রহটিকে চরিত্রের দিক থেকে সূর্যের মতোই একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর মতোই সম দূরত্বে আবর্তিত হতে হবে। আমাদের ছায়াপথে সম্প্রতি এরকম অন্তত ৩০টি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর মতোই সেই গ্রহগুলিতেও ৫০০ কোটি বছরই লেগেছে উন্নত জীবের বিকাশের ঘটতে, এটাও ধরে নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, উন্নত বা বুদ্ধিমান জীব কাদেরকে বলা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যারা মহাকাশে রেডিও তরঙ্গ পাঠাতে সক্ষম তাদেরকেই আমরা বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে গণ্য করছি। তবে একই সঙ্গে তারা এই কথাও স্বীকার করে নিচ্ছেন যে, রেডিও তরঙ্গ পাঠিয়ে তার উত্তর জানার পক্ষে ১৭,০০০ আলোকবর্ষ দূরত্বটা একটু বেশিই। এখনও এই গ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীদের আয়ত্বে সেরকম কোনও প্রযুক্তিই নেই।
গবেষকদের পক্ষ হতে ড. টম ওয়েস্টবি বলেন, ‘নতুন তথ্য ব্যবহার করায় আমাদের ছায়াপথে সভ্যতার সংখ্যা অনুমান অনেক সুদৃঢ় হয়েছে।’
গবেষক দলের নেতা নটিংহ্যাম ইউনিভার্সিটি’র অ্যাস্ট্রোফিজিক্স–এর প্রফেসর ক্রিস্টোফার কনসেলিস জানিয়েছেন যে, মিল্কিওয়ে ছায়াপথে অন্তত কয়েক ডজন সভ্যতার অস্তিত্বও রয়েছে। তাদের উপস্থিতি তখনই বোঝা যাবে যদি তারা ক্রমাগত নিয়মিতভাবে এই রেডিও সিগন্যাল পাঠাতে থাকে।
তাদের গবেষণা অবশ্য শুধুমাত্র গ্রহান্তরে বুদ্ধিমান জীবের অন্বেষণেই নিয়োজিত রয়েছে তা ঠিক নয়, মানব সভ্যতার ‘ভবিষ্যৎ’ এবং ‘ভবিতব্য’ সম্পর্কে একটি ধারণাও তারা করতে চাইছেন বলে জানিয়েছেন ওই গবেষক দলের নেতা প্রফেসর ক্রিস্টোফার।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।