দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই রিজেন্ট হাসপাতালকে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেওয়াসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানাসহ অন্তত ১২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে সরকারের চুক্তি কীভাবে হলো-তার বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের এই সপ্তাহে তলব করা হচ্ছে বলে দুদকের একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে।
এই বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ জানিয়েছেন, নথিপত্রে যাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাদেরই দুদকের মুখোমুখি করা হবে। রিজেন্ট হাসপাতালকে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করতে যারা অনুমতি দিয়েছেন, যারা এতে স্বাক্ষর করেছেন, যাকেই প্রয়োজন তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক। দুদক যে বিষয়টি অনুসন্ধান করছে তার মূল ফোকাসটাই হলো সরকারের সঙ্গে চুক্তি কীভাবে হলো, লাইসেন্সও ছিল কি না। জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা।
দুদক সূত্র আরও জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের যে চুক্তি হয়, তাতে করে অর্থের বিনিময়ে করোনার নমুনা সংগ্রহের বিষয়টিই ছিল না। তবে কোভিড-১৯ প্রতি টেস্ট বাবদ সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে নিয়েছে রিজেন্ট হাসপাতাল। তারপরও রিজেন্ট হাসপাতাল পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে।
করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের জালিয়াতির বিষয়টি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতিষেধক এবং সামাজিক চিকিৎসাবিষয়ক জাতীয় প্রতিষ্ঠান (নিপসম) এর পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার বায়জীদ খুরশিদ রিয়াজ লিখিতভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানিয়েছিলেন। তারপরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ হতে রিজেন্টের এমন প্রতারণার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়নি। যে কারণে করোনা পরীক্ষার নামে রিজেন্ট হাসপাতালের দুর্নীতি চলতেই থাকে।
দুদক জানিয়েছে, রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে কেনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তার দায় যেসব কর্মকর্তার ওপর বর্তায় তাদের সবাইকেই দুদক এখন জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সেই হিসেবে রেকর্ডপত্রে স্বাক্ষর থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা, হাসপাতাল ও ক্লিনিক বিভাগের পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান, একই বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনূস আলী, সহকারী পরিচালক শফিউর রহমানসহ অন্তত ১২ কর্মকর্তাকে কয়েক ধাপে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।