দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে এখনও পানিবন্দী রয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন সংকটসহ নানা দুর্ভোগে পড়েছেন বানভাসিরা।
জানা গেছে, অনেক স্থানেই বন্ধ রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ।
উত্তরের জেলা গাইবান্ধার নদ নদীর পানি কিছুটা কমেছে তবে বন্যা পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। ঘরবাড়ি এবং রাস্তা ঘাট থেকে পানি এখনও নামেনি। দুর্গত এলাকার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করছে। যে কারণে গবাদি পশু-পাখির খাদ্য , খাবার পানি, পয়:নিস্কাশনের সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।
এদিকে যমুনা নদীর তীরবর্তী জেলা সিরাজগঞ্জে মাসব্যাপী দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই পানি বাড়তে থাকায় জেলার বন্যা দুর্গত ৫টি উপজেলার মানুষের মাঝে বেড়েছে দুর্ভোগ। প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষাধিক মানুষ বর্তমানে পানিবন্দী। অভাব দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং খাদ্যের।
টাঙ্গাইলে যমুনা, ধলেশ্বরী এবং ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার কারণে ১১টি উপজেলার ৫৫৮টি গ্রাম ইতিমধ্যেই বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ।
তবে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মানুষের ঘর বাড়ি হতে পানি নেমে গেলেও গ্রামীণ সড়কগুলো এখনও ডুবে রয়েছে পানির তলায়। ত্রাণ এবং খাবার না পাওয়ার অভিযোগ করেছে গ্রামবাসীরা।
রাজধানীর পাশে গাজীপুরে তুরাগ ও বংশী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কালিয়াকৈর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ৮৫টি গ্রাম ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। অনেক স্থানেই ফসল ও সবজি ক্ষেত, মাছের পুুকুরসহ গ্রামের রাস্তাঘাট একেবারে তলিয়ে গেছে। সাধারণ কৃষকসহ মৎস্য চাষীদের কপালে হাত উঠেছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।