দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারত উপহার হিসেবে ১০টি ব্রডগেজ রেল ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশকে। দর্শনা-গেদে রেল সীমান্তে এই ১০টি রেল ইঞ্জিন হস্তান্তর করেছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।
গতকাল (২৭ জুলাই) এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর ও দেশটির রেল, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ১০টি ব্রডগেজ রেল ইঞ্জিন বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা সূচনা করেন।
ভারত সরকারের অনুদান সহায়তায় এই রেল ইঞ্জিনগুলো হস্তান্তর করলো। এগুলো হস্তান্তরের মাধ্যমে ২০১৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে করা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি পূরণ করলো ভারত। ভারতের পক্ষ হতে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবহার উপযোগী করে রেল ইঞ্জিনগুলিকে যথাযথভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে। এই রেল ইঞ্জিনগুলি বাংলাদেশে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে বিশেষ সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শংকর পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে রচিত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার কালোত্তীর্ণ সম্পর্কের গভীরতার কথাও তুলে ধরেন। কোভিড-১৯ মহামারিতেও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার গতি হ্রাস না পাওয়ায় তিনি এ জন্য সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, চলমান ঐতিহাসিক মুজিব বর্ষে তিনি এই জাতীয় আরও অনেক মাইলফলক অতিক্রম করার প্রত্যাশা করছেন।
রেলপথ, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং যোগাযোগ বৃদ্ধিতে ও দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করার জন্য এই রেল সহযোগিতার তাৎপর্যকে গুরুত্ব দেন।
সাম্প্রতিক সময়ে স্থল সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ভারত ও বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব হ্রাস করতে রেল সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যয় সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব বাহন হিসাবে রেল আন্তঃসীমান্ত পণ্য পরিবহনেও সহায়তা করেছে। জুন মাসে দু’দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মালবাহী ট্রেন চলাচল হয়। প্রয়োজনীয় পণ্য ও কাঁচামাল বহনের জন্য মোট ১০৩টি মালবাহী ট্রেন ব্যবহৃত হয়েছে।
সম্প্রতি, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পার্সেল ও কনটেইনার ট্রেন পরিষেবাও শুরু করা হয়েছে। এতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পাবে বলেও আশা করা হয়েছে।
ওই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতের রেলপথ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অঙ্গদি সুরেশ। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রেল ইঞ্জিনগুলো গ্রহণ করেন।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এই বিষয়ে বলেছেন, “ভারতীয় রেলওয়ে ১০টি ব্রডগেজ রেল ইঞ্জিন উপহারস্বরূপ দিচ্ছে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের হাতে ভারতীয় রেলওয়ে ইঞ্জিনগুলি হস্তান্তর করা হয়। ভারতের গেদে সীমান্ত ও বাংলাদেশের দর্শনা সীমান্তে এই হস্তান্তরের সমস্তরকম আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়।”
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।