দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন কথা শুনলে যে কেও আশ্চর্য হবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। জনৈকা এক নারী দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মাথায় হেলমেট পরে আছেন! কিন্তু কেনো?
মরক্কোর বাসিন্দা ওই নারীর নাম ফাতেমা গাজেভি। তিনি বিগত প্রায় ২০ বছর ধরে মাথায় মহাকাশচারীদের হেলমেট পড়ে রয়েছেন।
ডেইলি মেইলের এক খবরে বলা হয়েছে, ফাতেমা একটি বিরল ত্বকের রোগে ভুগছেন, যে রোগের নাম জিরোডার্মা পাইগামেন্টোসাম। এই রোগে আক্রান্তদের ত্বকে রোদ লাগলে মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয়। সাধারণত প্রত্যেকের শরীরেই বিশেষ করে মুখে রোদ পড়তে পড়তে একসময় চামড়া পুড়েও যেতে পারে, তবে কোষগুলো তা নিজে হতেই ঠিক করে। তবে এই রোগের কারণে নিজে থেকে কোষ আর ঠিক হতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে মুখে সূর্যের আলো পড়লেই ত্বকে সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে।
ফাতেমার বয়স যখন ১৩ বছর ছিল, তখন এই রোগ ধরা পড়ে। সে কারণে তিনি গত ২০ বছর ধরে হেলমেট পরে শরীরকে রোদের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখছেন।
ফতেমা সে কারণে দিনের বেলা বেশির ভাগ সময় ঘুমান এবং রাতের বেলায় বাইরে বের হন। রোদ না থাকলেও ঘর থেকে বাইরে বের হতে গেলে মাস্ক এবং গ্লাভস ব্যবহার করেন তিনি। এভাবেই চলছে তার জীবন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।