দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিকারের ভালোবাসার জয় ঘটেছে এবার। বিশাল এক হাঙ্গরের মুখ হতে স্ত্রীকে একপ্রকার কেঁড়ে আনলেন একজন স্বামী।
হাঙ্গরটি তার স্ত্রীর পা কামড়ে ধরেছে সেটি দেখতে পেয়ে সার্ফার করা স্বামী দ্রুত ছুটে যান সেখানে, হাঙ্গরের ওপর বোর্ডের আঘাত ও ক্রমাগত কিল-ঘুষি মেরে ভয়ঙ্কর প্রাণীটিকে বাধ্য করেন তার স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের শেলি সৈকতে ঘটেছে এমন একটি ঘটনা। ভুক্তভোগী স্ত্রীর নাম হলো শ্যান্টেল ডয়োলি এবং তার স্বামীর নাম মার্ক র্যাপলে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্য উত্তর উপকূলের সৈকতে সমুদ্রস্নানে নেমেছিলেন ৩৫ বছর বয়সি ডয়োলি। স্বামী মার্ক র্যাপলে সার্ফ করছিলেন খুব কাছেই। দুজনের মধ্যে টুকটাক কথাবার্তাও চলছিল সেই সময়। এরই মধ্যে হঠাৎ করে চিৎকার করে ওঠেন ডয়োলি। সার্ফিং বোর্ডে থেকেই র্যাপলে দেখেন বিশালাকার এক হাঙ্গর আক্রমণ করে বসেছে তার স্ত্রীকে। কামড়ে ধরেছে তার ডান পা। ছাড়া পাওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে কিছুতেই বিশাল সাদা হাঙ্গরটির সঙ্গে পেরে উঠছেন না তার স্ত্রী ডয়োলি।
অবস্থা দেখে একটুও বিলম্ব না করে প্রথমে সার্ফিং বোর্ড দিয়েই হাঙ্গরের গায়ে আঘাত করতে থাকেন র্যাপলে। তবে নাছোড়বান্দা হাঙ্গর, বারবার বোর্ডের আঘাতেও সে যেনো পিছু হঠছে না। উপায় না দেখে তৎক্ষণাত পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন স্বামী র্যাপলে। সর্বশক্তি দিয়ে এলোপাথারি ঘুষি মারতে শুরু করলেন হাঙ্গরের গায়ে। অবশেষে ডয়োলির পা ছেড়ে দিলো সাদা জলদানবটি। র্যাপলে স্ত্রীকে ধরে তুলে আনলেন সৈকতে। তারপরই একটি হেলিকপ্টার অ্যাম্বুলেন্স এসে ডয়োলিকে নিয়ে যাওয়া হলো হাসপাতালে।
অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের পরিদর্শক অ্যান্ড্রু বেভারলি বলেছেন, আমরা বা প্যারামেডিক চিকিৎসকরা আসার আগে র্যাপলে ও সার্ফ লাইফ সেভিং-এর সদস্যরা যেভাবে ডয়োলিকে উদ্ধার করেছেন তা সত্যিই অসাধারণ। তারা তাৎক্ষণিকভাবে এমন পদক্ষেপ না নিলে হয়তো ওই নারীকে বাঁচানো যেতো না।
পোর্ট ম্যাকুয়েরের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, ডয়োলিকে সম্ভবত ১০ ফুট লম্বা এবং হিংস্র কোনও গ্রেট হোয়াইট শার্ক আক্রমণ করেছিল। হাঙ্গরের কামড়ে তার ডান পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার কারণে নিউ সাউথ ওয়েলসের একাধিক সৈকত সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সৈকত এলাকায় টাঙানো হয়েছে সতর্কতার সাইনবোর্ডও। তথ্যসূত্র: বিবিসি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।