দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের শেষ জীবনটা কেমন যাবে তা কেও জানেন না। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে মানবিকতার কোনো বালাই নেই। যেমনটি ঘটেছে অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল স্যারের জীবনে।
তিন সন্তানের মধ্যে মেয়েই সবার বড়, নাম রেজিনা ইয়াসিন, আমেরিকা প্রবাসী। বড় ছেলে উইং কমান্ডার (অব.) ইফতেখার হাসান। অপরদিকে ছোট ছেলে রাকিব ইফতেখার হাসান অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। অথচ জীবনে এতো কিছু থাকার পরও আজ তার দু’চোখে যেনো নিকষ কালো অন্ধকার। এখন তিনি থাকেন আগারগাঁও প্রবীণ নিবাসে।
দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন সুনামের সঙ্গে। ২০০৬ সালে অবসর নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক (অব.) ড. এম আব্দুল আউয়াল (৭০)। অবসরের পর কিছুদিন বেশ ভালোই চলছিল তার।
আব্দুল আউয়াল জানিযেছেন, শিক্ষকতার পূর্বে ১৯৬৫-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এটমিক এনার্জিতে চাকরি করেছি আমি। তারপর শুরু হয় শিক্ষকতা। এই জীবনে অনেক টাকা-পয়সা উপার্জনও করেছি। ২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হতে অবসর নিয়েছি । তারপর ছেলে-মেয়েরা আমার খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেন।
কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেটে নিজস্ব ফ্ল্যাট ছিল আব্দুল আউয়ালের। এছাড়াও পল্লবীতেও বেশ কিছু জমিও ছিল। তবে এসব বড় ছেলে কৌশলে বিক্রি করে টাকা পয়সা নিজের অ্যাকাউন্টে হাতিয়ে নিয়েছেন, আক্ষেপ করেই বলেন অধ্যাপক আউয়াল।
তিনি আরও বলেন, ওরা আমাকে এতো কষ্ট দেয় কেনো। আমাকে নিয়ে এতো ছলচাতুরিই বা করে কেনো? বলতে বলতে ডুকরে কেঁদে উঠেন এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, আমি কি এতো কষ্ট করে এই জন্য ওদের মানুষ করেছিলাম?
অধ্যাপক আউয়াল বলেন, চাকরি হতে অবসর নেওয়ার পর কিছুদিন বড় ছেলের সঙ্গেই থাকতাম। ছেলের সংসারে থাকার সময় জানতে পারি ছেলে এব বউয়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। একদিন বাসায় থাকা অবস্থায় বউয়ের মুখে গালি শুনে বাসা থেকে নেমে এসেছিলাম। আর কখনও ফিরে যাইনি। ওরাও কেও আমার খোঁজ নেয়নি। ছোট ছেলে অস্ট্রেলিয়া হতে দেশে আসে ২০১৪ সালে। এসে মিরপুর-১ নম্বরে একটি দোকানে আমার সঙ্গে দেখা করে কথাও বলে। সেখানে গেলে আমাকে জানায় তার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আমি ওর বাবা অথচ আমাকে জানালও না যে বিয়ে করতে চলেছে। বিয়ে করে আবার চলে যাবে বিদেশে, একথা শুনে ছেলের বউকে দেখতে চেয়েছি। তবে তার স্গে দেখা করা যাবে না বলে জানিয়েছে ছেলে।
অধ্যাপক আউয়াল আফসোসের সুরে বলছিলেন, অথচ এই ছেলের পড়ালেখার জন্যও পেনশনের টাকা হতে ২৬ লাখ পাঠিয়েছি। সেই ছেলেটিও আমাকে কোনো দিন ফোন করে না। মাঝে মধ্যে ইমেইলে চিঠি লেখে।
অধ্যাপক আউয়াল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অতি উচ্চ শিক্ষিত হতে গিয়ে আমরা যেনো দিন দিন আরও অমানুষ হয়ে যাচ্ছি।অথচ অনেক গরিব, মূর্খ রয়েছে যারা বাবা মাকে নিয়েই একসঙ্গে থাকে। তাহলে তারা কি আমাদের মতো মুখোশধারী শিক্ষিতের চেয়ে অনেক ভালো নয়? তাই উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা এব মানুষ্যত্বটাও সবার শিক্ষাগ্রহণ করা উচিৎ।
# Bablu Khan এর ফেসবুক হতে সংগৃহিত এই লেখাটি মানবিক কারণে প্রকাশ করা হলো। সমাজের মানুষগুলো যাতে এমন কাহিনী পড়ে শিক্ষা নিতে পারে। আমরা জানিনা এই ঘটনার কতো সত্য বা কতোটা মিথ্যা তবে আমাদের সমাজে এমন ঘটনা অনেকই ঘটে থাকে। যদি কাল্পনিক ঘটনাও আমরা এভাবে পড়ে থাকি তবুও এ থেকে অন্তত কিছুটা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবো। সেজন্য মানবিক এই লেখাটি পাঠকদের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করা হলো।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।