দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লাদাখের বিরোধপূর্ণ সীমান্তে উত্তেজনা, সংঘাত এবং মৃত্যু ঘটে যাওয়ার ১০০ দিন পার হয়েছে। লাদাখে সীমান্ত বরাবর বড় সংখ্যায় সেনা সমাবেশও করেছে চীন। কিন্তু আজও সেই হামলার প্রকৃত রহস্য বুঝতে পারেনি ভারত!
হামলার ১০০ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও বেইজিংয়ের প্রকৃত উদ্দেশ্য বুঝে উঠতে পারেননি খোদ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি নিজেই সেই কথা অকপটে স্বীকারও করলেন।
যদিও লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে বিবাদ দিনকয়েক আগে শুরু হয়নি, বরং গত গোটা মে মাস থেকেই চলে আসছে। অর্থাৎ সাড়ে ৩ মাস বা ১০০ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেছে তারমধ্যে গালওয়ান সংঘর্ষে জড়িয়েছে দু’দেশের সেনাবাহিনী, একাধিকবার বৈঠকেও বসেছে তারা।
এই ঘটনা সত্ত্বেও নয়াদিল্লি চীনের প্রকৃত উদ্দেশ্যে বুঝতে না পারায় বিস্মিত অনেক ভারতীয় বিশেষজ্ঞও। বিশেষত প্রশ্ন উঠছে যে, চীনের মতলব যদি না বুঝতে পারে নয়াদিল্লি, তাহলে দেশটির থেকে কীভাবে আরও এগিয়ে থাকা যাবে?
নিজের আসন্ন বই ‘দ্য ইন্ডিয়া ওয়ে: স্ট্র্যাটেজিজ ফর অ্যান আনসার্টেন ওয়ার্ল্ড’ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস-এ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখানেই বেইজিংয়ের প্রকৃত লক্ষ্য সম্পর্কে নিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করেন।
চীন সম্পর্কে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা কূটনৈতিক ও সামরিক উপায়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। এটা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির দুটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি ১৯৯৩ সালে শুরু হয়েছিল ও তবে কয়েক বছর ছাড়া চীনের সঙ্গে আমাদের একাধিক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।’
জয়শঙ্কর আরও বলেন, পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গি দু’টির বিষয় হলো যে; দু’পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ন্যূনতম বাহিনী রাখবেই। তবে এখন পরিস্থিতি একেবারেই সেরকম নয়।
বড় সংখ্যায় চীনের বাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে এবং সত্যিটা হচ্ছে- আমরা চীনের প্রকৃত উদ্দেশ্যেই বুঝে উঠতে পারিনি। স্পষ্টতই আমরা যদি সীমান্তে শান্তি ও স্থিতবস্থা চাইও, তাহলে আমাদের এই চুক্তিগুলি মেনে চলতেই হবে।’
অবশ্য এই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যার পথে হাঁটেননি ভারতীয় ওই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে তার পরবর্তী মন্তব্যে আরও একটি প্রশ্ন উঠে এসেছে। দ্বিতীয় দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে জয়শঙ্কর বলেন, ‘দ্বিতীয়ত: আমি মানছি যে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে কয়েকটি ভিন্ন ধারণা রয়েছে। আবার একটা স্পষ্ট বোঝাপড়াও রয়েছে যে কোনও পক্ষই একতরফাভাবে (সীমান্তের) প্রকৃত অবস্থার পরিবর্তন কখনও করবে না।’
জয়শঙ্করের এই বক্তব্যের পর একটি মহল হতে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে বেইজিং কী একতরফাভাবেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার স্বাভাবিক অবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিল? যদিও গালওয়ান সংঘর্ষের পরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল যে, লাদাখে একতরফাভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার স্বাভাবিক অবস্থা ‘পরিবর্তনের চেষ্টা’ করে চীন।
সেইসঙ্গে সেই সময় ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনা সেনা প্রবেশ করতে পারেনি বলেও দাবি করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।