দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিদিনই দেশে প্রায় ৩৭ হাজার নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যোগ হচ্ছে। নতুন ব্যবহারকারীদের কাছে ইন্টারনেট বলতে ফেসবুক, কথা বলতে ইমো, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং বিনোদন নিতে ইউটিউব। অথচ এইসব সোশ্যাল মিডিয়া মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করছে!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মূলত অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও বিরূপ ছোয়ায় পুরো পৃথিবী যেনো এক আবেগ শূন্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্তি কিশোর-যুবকদের মধ্যে মানসিক সমস্যারও সৃষ্টি করছে।
এই বিষয়ে ভারতের এইচওডি সাইক্রিয়াট্রি অ্যান্ড চিফ ন্যাশনাল ড্রাগ ডিপেনডেন্স ট্রিটমেন্ট সেন্টারের (এনডিডিটিসি) বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কিশোর এবং যুবকদের মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারে ক্রমেই আসক্তি বাড়ছে। এ থেকে তারা মানসিক সমস্যায়ও আক্রান্ত হচ্ছে।
গত বছরের শুরুর দিকে অনলাইনে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনকারীদের কবল হতে ৩২ শতাংশ বাংলাদেশী শিশুদের রক্ষার আহ্বান জানিয়েছিলো আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনিসেফ। ইউনিসেফের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১০ হতে ১৭ বছর বয়সী ৩২ শতাংশ শিশু অনলাইনে সহিংসতা, অনলাইনে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ডিজিটাল উৎপীড়নের শিকার হওয়ার মতো নানা বিপদের মুখে রয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দিনকে দিন ব্যাপকহারে বাড়ছে। ২০০০ সাল হতে এই সংখ্যা অন্তত ৮০০ গুণ বেড়েছে। বাংলাদেশে অনলাইন জনগোষ্ঠীর গড় বয়সও ক্রমেই কমছে। এমনকি ১১ বছরের শিশুরাও প্রতিদিন ইন্টারনেটে প্রবেশ এবং ব্যবহার করছে দেদারচে। যদিও ছোট শিশুদের তুলনায় বেশি বয়সী শিশুরা অনলাইনে ভয়ভীতির সম্মুখীন হওয়ার বেশি ঝুঁকিতেই থাকে। তবে ক্ষতিকর সামগ্রী, যৌন নিগ্রহ এবং অপব্যবহার ও ভয়ভীতির সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকি হতে এইসব শিশুরা কখনই মুক্ত নয়।
রুশ সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক লিও টলস্টয় মন্তব্য করেছিলেন, মানুষের জীবনে শুধুমাত্র ৩টি জিনিসের প্রয়োজন, আর তা হলো ‘বই, বই ও বই।’ তবে বর্তমান প্রজন্মের কাছে যে ৩টি জিনিসের প্রয়োজন অত্যধিক হয়ে পড়েছে তা হলো, ‘অনলাইন, অনলাইন ও অনলাইন।’
তাই এখন জরুরি হয়ে পড়েছে এই পথ থেকে বিশেষ করে শিশুদের দূরে রাখার। অনেকেই আবার মনে করেন শিশুদের জ্ঞান অর্জনের জন্য এটি প্রয়োজন রয়েছে। তবে এটির ব্যবহার যেভাবে বাড়ছে বা ভালো কাজের থেকে খারাপ কাজে যেভাবে ব্যবহার হচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে শিশুদের নিয়ে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তাই সময় থাকতে আরও সচেতন হতে হবে অভিভাবকদের।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।