দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারত বানালো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘হাইওয়ে টানেল’! দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির নামে পাহাড়ি রাজ্য হিমাচলে চালু করা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই হাইওয়ে টানেলটি।
সমতল হতে ১০ হাজার মিটার উচ্চতায় নির্মিত ৯ দশমিক শূন্য ২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলটিতে রাখা হয়েছে আধুনিক সব রকম ব্যবস্থা।
অবশ্য এই টানেলটির নির্মাণ শেষ করতে সম্ভাব্য যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল তার চেয়েও ৪ বছর বেশি সময় লেগেছে। অর্থাৎ কাজ শুরুর ৬ বছরের মধ্যে এটির নির্মাণ শেষ করার কথা থাকলেও অবশেষে শেষ হলো ১০ বছরে।
টানেল নির্মাণ কাজের প্রধান প্রকৌশলী কেপি পুরুষোথমন ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, পৃথিবীর বৃহত্তম এই হাইওয়ে টার্নেলটি নির্মাণ কাজ করতে ধারণা করা সময়ের চেয়েও বেশি সময় লেগেছে। এটি নির্মাণের কারণে এখন হিমাচলের প্রাচীন শহর মানালি হতে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের লাদাখ অঞ্চলের জেলা লেহ’র দূরত্ব কমেছে ৪৬ কিলোমিটার ও এই দুই শহরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় আগের চেয়েও ৪ ঘণ্টা কম সময় লাগবে।
টানেলটির ভেতরে ৬০ মিটার পরপর স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। ৫০০ মিটার পরপর রাখা হয়েছে এক্সিট টানেলও। অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে এর ভেতর অগ্নিনর্বাপন যন্ত্রও বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রধান প্রকৌশলী আরও যোগ করেন, এটি নির্মাণকালে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা অবশ্যই একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা এর নির্মাণ কাজ শেষ করতে পেরেছি।
শীতকালে ভারি তুষারপাতের সময় এর খনন কাজ চালিয়ে যাওয়া সবচেয়ে বেশি কঠিন কাজ ছিল। সুড়ঙ্গ তৈরি করার জন্য খননকাজ উভয় প্রান্ত হতেই করা হয়েছে। রোটাং পাসটি শীতকালে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সুড়ঙ্গের উত্তর প্রান্তে প্রবেশ করা যেতো না এবং খনন কাজ শুধুমাত্র দক্ষিণ প্রান্ত হতে করা হতো। সমগ্র সুড়ঙ্গের মাত্র এক-চতুর্থাংশ উত্তর প্রান্ত থেকে খনন করা হয় এবং দক্ষিণ প্রান্ত হতে তিন-চতুর্থাংশ সুড়ঙ্গই খনন করা হয়। সুড়ঙ্গের দিকে যাওয়ার পথে অন্তত ৪৬টিরও বেশি হিমবাহের অবস্থান ছিল।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।