দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন। এই চুক্তিতে মধ্যস্থতা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েল ইস্যুতে প্রকাশ্যে এলো সৌদি বাদশাহ-যুবরাজের বিরোধ!
বিশ্বজুড়ে গুঞ্জন চলছে-সৌদি আরবও আমিরাত ও বাহরাইনের পথেই হাঁটতে চলেছে। তারাও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য চুক্তি করবে। ইতিমধ্যে এই ইস্যুতে সৌদি বাদশাহ সালমান ও তার ছেলে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে মতবিরোধের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বিশ্লেষকরা বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে যুবরাজকে আগ্রহী দেখা গেলেও অসম্মতি জানিয়েছেন সৌদি বাদশাহ।
১৩ আগস্ট ইসরায়েল এবং আমিরাতের মধ্যকার সমঝোতা চুক্তি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণা পর স্তম্ভিত হন ৮৪ বছর বয়সী সৌদি বাদশাহ।
ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতেই ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে আমিরাত এবং বাহরাইন।
ঐতিহাসিক এই চুক্তিকে ‘নতুন মধ্যপ্রাচ্যের সূর্যোদয়’ বলেও প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অপরদিকে আরবদের এই চুক্তিকে বিক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরাও ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলেই অভিহিত করেছেন।
নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পূর্বে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল চুক্তির অধীনে আরও আরব দেশকে নিয়ে আসতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, সৌদি আরব তেল আবিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে দ্বারপ্রান্তে বলে তিনি নিজেও বিশ্বাস করেন। দেশটি ‘সঠিক সময়’ সেটি করবেও।
ফিলিস্তিনের প্রতি বরাবরই সমর্থন দিয়ে আসছেন সৌদি বাদশাহ সালমান। কয়েক দশক ধরেই ফিলিস্তিনিদের কয়েক বিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্যের পাশাপাশি তাদের বেশির ভাগ নেতার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কও গড়ে তুলেছেন সৌদি বাদশাহ।
বাদশাহের অসম্মতি থাকলেও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে ইচ্ছুক সৌদি যুবরাজ। ইরানের বিরুদ্ধে শক্তিশালী জোটবদ্ধ গড়ে তুলতে এবং সেই সঙ্গে ব্যবসা-বিনিয়োগের জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব কাটিয়ে উঠতে চান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
সৌদি মালিকানাধীন একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক মতামতে সৌদি রাজপরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল বলেছেন যে, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে হলে জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে অবশ্যই ঘোষণা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েল এবং আরব দেশগুলোর মধ্যে চূড়ান্ত শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সৌদি আরব একটি মূল্যও নির্ধারণ করেছে। সেটি হলো, প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহর উদ্যোগ অনুসরণ করে জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণা করার মাধ্যমে সার্বভৌম একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা।’
তবে ইসরায়েল এবং সৌদি আরবের মধ্যকার চুক্তির বিষয়টি অনেক দূর এগিয়েছে বলেই মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলে ‘ইরান ও উপসাগরীয় ডেস্ক’ এর সাবেক পরিচালক ইওয়েল গুজানস্কিও।
তিনি বলেন যে, ‘চুক্তির বিষয়টি অনেক দূরই এগিয়েছে। তবে সে জন্য ইসরায়েলকে আরও অপেক্ষা করতে হবে। কখন ও কী মূল্যে চুক্তি হবে, সেটি নিয়ে সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে নয়, মূলত হোয়াইট হাউসের সঙ্গে আলোচনা করছে।’
২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর বাদশাহ সালমান তাকে একটি বার্তা পাঠিয়ে বলেছিলেন, তিনি ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারের সঙ্গে সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব রাষ্ট্র থাকার অধিকারেও বিশ্বাস করেন।
সেপ্টেম্বরে স্মার্টফোনে বাদশাহ সালমান ফিলিস্তিন ইস্যু সমাধান নিয়ে তার আকাঙ্ক্ষার কথা আবারও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জানিয়েছেন।
যুবরাজের ঘনিষ্ঠ দুই উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান তিনি। তবে যুবরাজ এটিও জানেন যে, যতোদিন বাদশাহ বেঁচে রয়েছেন ততোদিন এটি করা প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে সৌদি সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর হতেই যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য নিয়ে ইসরায়েলের প্রতি অস্বাভাবিক আগ্রহও দেখিয়ে আসছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।