দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুলাল চন্দ্র রায়। এর আগেও স্ত্রীর বায়নায় ঘোড়া এবং রাজহাঁস কেনেন। স্ত্রীকে খুশি করতে তিনি সবসময় প্রস্তুত। এবার স্ত্রীকে খুশি করতে ওই কৃষক কিনলেন সাড়ে ১৬ লাখ টাকায় হাতি!
জানা গেছে, দুলাল চন্দ্র রায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রথিধর দেউতি গ্রামের মৃত বীরেন্দ্র নাথের ছেলে। প্রাণী সংরক্ষণ এবং যত্নবান হতে দৈব নির্দেশ (স্বপ্নে পাওয়া) পান কৃষক দুলাল চন্দ্রের স্ত্রীর নাম তুলসী রানী দাসী। ওই দৈব নির্দেশ পালনে কয়েক বছর আগেই স্বামীর কাছে প্রথমে একটি ঘোড়া, রাজহাঁস এবং ছাগল কিনে তা পরিচর্যা করেন তুলসী রানী দাসী। এক বছর পূর্বে আবারও দৈব নির্দেশ পান হাতি কিনে যত্ন নেওয়ার জন্য। এই নির্দেশনা পেয়ে পুনরায় স্বামী দুলালের কাছে হাতি কিনতে বায়না ধরেন তারই স্ত্রী তুলসী রানী দাসী।
স্ত্রীর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে ১১ বিঘা জমির মধ্যে দুই বিঘা বিক্রি করে হাতি ক্রয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন দুলাল চন্দ্র। শুধু পরিকল্পনা করেই থেমে থাকেননি বরং খোঁজ-খবর নিয়ে সিলেটের মৌলভীবাজার গিয়ে সাড়ে ১৬ লাখ টাকায় হাতি কেনেন তিনি।
১৬ লাখ টাকায় হাতি নিয়ে ২০ হাজার টাকা ট্রাক ভাড়া করে গত সপ্তাহে বাড়ি ফেরেন কৃষক দুলাল চন্দ্র। হাতিকে দেখভাল করতে ইব্রাহীম মিয়া নামে এক মাহুতকে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতনে মৌলভীবাজার থেকে নিয়ে আসেন তিনি।
গ্রামের প্রভাবশালী কৃষক দুলাল চন্দ্র হাতি কিনেছেন শুনে শুধুমাত্র ওই গ্রামবাসীই নয়, দূর-দূরান্ত হতে মানুষজন হাতিটি দেখতে ভিড় করছেন দুলাল-তুলসী দম্পতির বাড়িতে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ওই গ্রামের সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, অনেক দিন ধরেই শুনছি দুলাল চন্দ্র নাকি হাতি কিনবেন। অবশেষে জমি বিক্রি করে তিনি স্ত্রীর কথামতো হাতি কিনে আনলেন। সেই হাতি দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত হতে শত শত মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করছেন। তিনি একজন প্রভাবশালী মানুষ। হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি কিংবা ব্যবসা করার জন্য তা কেনননি।
হাতি দেখতে আসা মতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, জীবনে অনেকবার আমি হাতি দেখেছি। তবে স্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে এই যুগে কেও হাতি কিনতে পারেন সেটি শুনেই দেখতে এসেছি।
হাতির মাহুত ঈবাহীম বলেন, খাওয়া থাকাসহ প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা মজুরিতে মৌলভীবাজার হতে আমি এখানে কাজে এসেছি। মাহুত বানাতে স্থানীয় দুইজনকেও আমি প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। তারা প্রশিক্ষিত হলে তাদের ওপর দায়িত্ব দিয়ে আমি চলে যাবো।
হাতির মালিক দুলাল চন্দ্র রায় বলেছেন, স্ত্রীর স্বপ্ন পূরণ করতে, তাকে খুশি করতে জমি বিক্রি করে সাড়ে ১৬ লাখ টাকায় আমি হাতিটি কিনেছি। হাতিটির দেখভাল করতে মৌলভীবাজার হতে মাহুতকে নিয়ে এসেছি, যাতে হাতির পরিচর্যায় কোনো রকম কমতি না থাকে। আপাতত হাতির পেছনে মাহুতের মজুরি ও কলাগাছের জন্য দৈনিক ১০০ হতে ১৫০ টাকা খরচও করতে হচ্ছে আমাকে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।