দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মনোবিজ্ঞানীরা পরামর্শ দিয়েছেন মন খুলে গালাগাল দিতে। কারণ তাহলে নাকি খুব দ্রুত মানসিক চাপ ও অবসাদ কাটবে!
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অবসাদ, ক্ষোভ কাটাতে হলে ‘গালিগালাজ’ অত্যন্ত কার্যকর একটি জিনিস! তবে এ ক্ষেত্রে স্থান, কাল, পাত্র জ্ঞান থাকাটাও অবশ্য জরুরি বলে মত দিয়েছেন তারা।
সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দৈনন্দিন জীবনে আমাদের এমন অনেকের সঙ্গেই পরিচয় রয়েছে যাদের মুখের ভাষা খুবই খারাপ! কথায় কথায় … বাচ্চা, বা আরও বিভিন্ন রকম গালি গালাজ শুরু করে দেন। গালিগালাজের অ…আ…ক…খ সবই থাকে! এই সব ‘মধুর বচন’ পরিবারের গুরুজন কিংবা শিশুদের সামনে বা পাড়া-প্রতিবেশীদের সামনে মুখ ফসকে বেরিয়ে পড়লেই একেবারে কেলেঙ্কারি!
তবে যে যাই বলুন না কেনো, ইদানীং মনোবিজ্ঞানী এবং গবেষকরা কিন্তু ‘কু-কথা’ বলার এই অভ্যাসকেই আমাদের সুস্থ থাকার সহজ উপায় বাতলে দিয়েছেন। মানসিক চাপ, মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা, অবসাদ কমানোর ক্ষেত্রে গালিগালাজের অভ্যাস নাকি খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। একাধিক মার্কিন গবেষণায় যার প্রমাণও নাকি মিলেছে। এই ধারণার সঙ্গে একমত হয়েছেন ব্রিটিশ গবেষক এবং মনোবিজ্ঞানীরাও!
এই বিষয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক এবং ফলিত ভাষাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কিরিকুস অ্যান্টনিও জানিয়েছেন, গালিগালাজ আসলে মন হতে রাগ, ক্ষোভ বের করে দিয়ে মানসিক চাপ কাটানোর খুব সহজ একটি উপায়। তার মতে, যেসব মানুষ উত্তেজিত হলেও গালিগালাজ দিতে পারে না বা দেন না, তাদের মধ্যে মানসিক অবসাদ, উচ্চ রক্তচাপ-সহ নানা স্নায়ুবিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয়, কখনও কখনও এই সব ব্যক্তিদের মধ্যে দ্বৈত ব্যক্তিত্বের (split personality) সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই তুলনায় যারা খুব সহজে গালাগাল দিয়ে ফেলেন, তারা অনেক বেশিই সুস্থ থাকেন।
সে কারণে মার্কিন গবেষক ও মনোবিজ্ঞানীদের মতে, মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ, অবসাদ, ক্ষোভ কাটাতে হলে প্রয়োজনে একান্তে গালিগালাজ দেওয়াও ভালো। তবে স্থান-কাল-পাত্র জ্ঞান থাকাটা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়! না হলে আবার বিপদও ঘটতে পারে!
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।