দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যার যার ধর্ম তার তার কাছে। ধর্ম পালনে কারও কোনো বিধি নিষেধ নেই। তাই এক স্থানে গড়ে উঠেছে মসজিদ ও মন্দির!
লালমনিরহাট শহরের পুরান বাজারের কাছেই এক আঙিনায় অবস্থিত মসজিদ এবং মন্দির। এখানে মুসলমানদের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ ও কালীবাড়ি দুর্গা মন্দির একেবারে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে রয়েছে। দুটি স্থাপনার দেওয়াল প্রায় লাগোয়া। এ যেনো ধর্মীয় সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ভোরে ফজরের সময় মোয়াজ্জিনের কণ্ঠে মিষ্টি আজান শেষে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরেই মন্দিরে শোনা যায় উলুধ্বনি! সেই সঙ্গে চলে পূজা-অর্চনার অনুষ্ঠানিকতা। এমনই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নিদর্শন বহন করছে শতবর্ষী এই মসজিদ এবং মন্দির।
মসজিদের মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমাদের এখানে একই উঠানে দুটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এখানে মুসলমান ও হিন্দুরা যে যার ধর্ম সুষ্ঠুভাবেই পালন করছেন। আমরা নামাজ পড়ছি, আর তারা পূজা করছেন। কেওই কারও ধর্মে কোনো হস্তক্ষেপ করছেন না। আমাদের মাঝে ধর্মীয় আচার-বিধি পালন করা নিয়ে কোনো রকম দ্বন্দ্ব নেই।’
প্রবীণ সাংবাদিক ও একাত্তরের গেরিলা কমান্ডার এসএম শফিকুল ইসলাম কানু বলেছেন, ‘১৮৩৬ সালে দুর্গা মন্দির প্রতিষ্ঠার আগে এখানে কালী মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। যে কারণে পুরান বাজার অনেকের কাছেই কালীবাড়ি নামে পরিচিত। তারপর মন্দির প্রাঙ্গণে ১৯০০ সালে একটি নামাজের ঘর নির্মাণ করা হয়। নামাজের ঘরটিই পরবর্তীকালে পুরান বাজার জামে মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে।’
প্রকৃতপক্ষে ধর্মীয় সম্প্রীতি কী, ধর্মীয় সম্প্রীতিই বা কাকে বলে, সেটি কেমন হওয়া উচিত- তা জানার জন্য, দেখার জন্য সবারই এখানে আসা উচিত। মন্দিরের পুরোহিত সঞ্জয় কুমার চক্রবর্তী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘মন্দিরে নিয়মিতভাবে পূজার্চনা হয়। আজান এবং নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার বন্ধ রাখা হয়। ধর্মীয় সম্প্রীতির বিঘ্ন ঘটতে পারে- এমন অবস্থার মধ্যে আমাদের কোনো দিনই পড়তে হয়নি। বরং স্থানীয় মুসল্লিদের সহযোগিতাও পেয়ে আসছি।’
এমন ধর্মীয় সম্প্রীতি দেখে উভয় ধর্মের বাসিন্দারা এটি নিয়ে গর্ব বোধ করেন। সকলেই মিলে মিশে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন। তাই একই উঠানে দুটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান একটি দৃষ্টান্ত হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।