দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দেশেও যে অসাধারণ সব পাহাড়, নদী ঝর্ণা রয়েছে তা হয়তো আমাদের অনেকেরই জানাও নেই। আজ জেনে নিন বাংলাদেশের অসাধারণ কয়েকটি ঝর্ণা সম্পর্কে।
এমন কিছু ঝর্ণা রয়েছে যেগুলো দেখলে সেখানে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠে মন। নিজের দেশে হাতের কাছেই রয়েছে অপরূপ সৌন্দর্য যা অনেকেই হয়তো জানেন না এবং জানলেও যেতে পারেন না। আমরা ঘর হতে দুই পা সম্বল করে বের হলেও নিজের দেশের এই সকল অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি ইচ্ছা করলেই। প্রয়োজন শুধু আমাদের ইচ্ছার। আজকে চলুন আপনাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই আমাদের বাংলাদেশের অপরূপ সুন্দর কয়েকটি ঝর্ণার সঙ্গে।
বান্দরবানের আমিয়াখুম ঝর্ণা
বাংলাদেশের সব চাইতে সুন্দর এই ঝর্ণাটি বাংলাদেশ-মায়ানমারের সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। দুটি উপায়ে এই অপরূপ সুন্দর স্থানে যেতে পারবেন আপনি।
প্রথমত: বান্দরবান, থানচি, বোর্ডিং পাড়া, সিমপ্লাম্পি পাড়া, থান্ডিয়া পাড়া, বোলং পাড়া, সাত ভাইখুম, নাকিওংমুখ, আমিয়াখুম ঝর্ণা।
দ্বিতীয়ত: থানচি, পদ্মমুখ, বোলং পাড়া, সাত ভাইখুম, নাকিওংমুখ, আমিয়াখুম ঝর্ণা।
বান্দরবানের থানচির নাফাখুম ঝর্ণা
অপূর্ব সৌন্দর্যের এই নাফাখুম ঝর্ণাটি বাংলাদেশের সব থেকে বড় ঝর্ণা। এটি মূলত সাঙ্গু নদীতে অবস্থিত। এই ঝর্ণাটি দেখতে চাইলে আপনাকে থানচি উপজেলা হতে ৩ ঘণ্টার নৌকা ভ্রমণ করে পৌঁছাতে হবে তিনডুতে, সেখান থেকেই আরও ৩ ঘণ্টার ভ্রমণ সাঙ্গু নদীতে আপনাকে পৌঁছে দেবে রেমাকরিতে। তারপর ৩ ঘণ্টার হাঁটা পথে পৌঁছে যাবেন নাফাখুমের অপরূপ সৌন্দর্যে।
চট্টগ্রামের মিরেরসরাইয়ের খৈয়াছরা ঝর্ণা
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও নোয়াখালী পার হলেই পাওয়া যাবে মিরেরসরাই উপজেলা। এই উপজেলাতেই রয়েছে অপরূপ সৌন্দর্যের এই ঝর্ণাটি।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সহস্রধারা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত এই সহস্রধারা অসাধারণ একটি ঝর্ণা। তবে এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে তবেই যেতে হবে। কারণ এর খানিকটা অংশ পড়েছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে।
রাঙ্গামাটির শুভলং ঝর্ণা
ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি গেলে অবশ্যই শুভলং ঝর্ণার সৌন্দর্য দেখে আসা উচিৎ। রাঙ্গামাটি শহর হতে নৌকা ভাড়া করে কাপ্তাইয়ের এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে চলে যেতে পারবেন এই অপূর্ব ঝর্ণাটির কাছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।