দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে তার বয়স ২৬। আজ থেকে ২০ বছর পূর্বে তাকে একটি মশা কামড়েছিল। সেই মশা কামড়ানোর পর হতেই তার জীবন বদরে যায়। এখন তিনি হাঁটতেও পারেন না।
কম্বোডিয়ার কাম্পং ছহননাং প্রদেশের বঙ চেটের জীবন এখন পুরোপুরিই বদলে গিয়েছে। ২০ বছর আগের মশার কামড়ের পর তার জীবনে একের পর এক খারাপ ঘটনাও ঘটেছে। কখনও স্কুলে যাওয়াই বন্ধ হয়েছে। আবার কখনও মাঠে যাওয়া বন্ধ। ফুটবলার হওয়ার যে স্বপ্ন দেখতেন বং চেট সেই স্বপ্নও এই জীবনের মতো অধরাই থেকে গেলো।
নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানা যায় যে, ২০ বছর আগে কম্বোডিয়ার কাম্পং ছহননাং প্রদেশের বাসিন্দা বঙ চেটকে একটি মশা কামড়ে দেয়। তারপর হতেই তার পা ফুলতে শুরু করে। বর্তমানে তার পায়ের আকার স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৫ গুণ বড়! তিনি হাঁটার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছেন। মাত্র ৬ বছর বয়সে এই ভয়াবহ রোগের কারণে আজ পা-ই তুলতে পারেন না তিনি।
২০ বছর আগে মশায় কামড়ানোর পর পায়ে হালকা ক্ষতর দাগও ছিল তার। তাইতো বঙয়ের মা-বাবা বিষয়টা নিয়ে মাথাও ঘামাননি, ভেবেছিলেন মাঠে খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছে সে। তারপর থেকেই বঙ চেটের পায়ে একাধিক ছোট ছোট মাংস পিণ্ড জন্মাতে শুরু করে দেয়, বেলুনের মতো ফুলতে থাকে তার পা। ১২ বছর বয়সে তার পা আর পাঁচটা স্বাভাবিক মানুষের পায়ের থেকে পাঁচ গুণ বেশি ফুলে ফেপে ওঠে।
স্থানীয় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন বঙয়ের বাবা-মা। তাদের অভাব-অনটনের সংসার। সঠিক চিকিৎসা করাতেও পারেননি ছেলের। ধীরে ধীরে একেবারেই হাঁটা-চলা বন্ধ হয়ে গেছে বঙয়ের। স্কুলও ছাড়তে হয়। যদিওবা কখনও কখনও সাহস করে জনসমক্ষে হাজির হয়েছেন, কিন্তু হাসি-মসকরার পাত্র হয়েছেন। কাজেই একটা সময় পর, নিজেকে সম্পূর্ণভাবেই ঘরবন্দি করে নিয়েছেন বঙ।
জানা গেছে, এই রোগের কোনো ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কার হয়নি। এই রোগ ভালো হওয়ার মতোও নয়। তবে বঙয়ের অবস্থা ভালো হওয়ার জন্য তাকে কিছু ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।