দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেক সিনেমায় উডুক্কু গাড়ির ব্যবহার দেখেছি অনেক আগে থেকেই। তবে এবার ভবিষ্যত প্রজন্মের এই উডুক্কু গাড়ির দেখা পাওয়া যাচ্ছে বাস্তবেও।
স্লোভাকিয়ার আকাশে এমনই এক উডুক্কু স্পোর্টস গাড়ির পরীক্ষামূলক ফ্লাইট শেষ করেছে ক্লেইন ভিশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ব্রিটিশ ট্যাবলেট মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ারকার নামে রাস্তায় চলা গাড়িটি তিন মিনিটের কম সময় উডুক্কু গাড়িতে রূপান্তরিত হতে পারে। পরীক্ষামূলকভাবে ফ্লাইটে পিয়েস্তা এয়ারপোর্ট থেকে উড্ডয়ন করেছে এই গাড়িটি। দেড় হাজার ফুট ওপরে উড্ডয়ন শেষে সফলভাবে ভূমিতে নেমেও এসেছে এই গাড়িটি। দুই আসনের এক হাজার একশ’ কেজির উডুক্কু গাড়িটি প্রতি ফ্লাইটেই দুইশ’ কেজি পর্যন্ত ভর বহন করতে সক্ষম। ধারণা করা হচ্ছে যে, একবারে এক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারবে এই গাড়িটি। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘন্টায় ২শ’ কিলোমিটার। বোয়িংয়ের জেষ্ঠ্য কারগরি কর্মকর্তা ড. ব্র্যাংকো বলেছেন, ‘গাড়িটিকে একটি উড়োজাহাজে রূপান্তরের ক্ষেত্রে ডানা ও লেজের অংশের উন্নয়ন অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি বিষয়।’
‘ককপিটে চালক/পাইলট ও একজন যাত্রী বসার যথেষ্ট জায়গাও রয়েছে এবং সুন্দরভাবে নকশা করা হয়েছে এটির। সার্বিকভাবে রাস্তায় ও আকাশে উডুক্কু গাড়িটির নকশা দারুণ,’ জানিয়েছেন ড. ব্র্যাংকো। নকশাকারী ক্লেইন ভিশনের তথ্যমতে জানা যায়, নিকট ভবিষ্যতে এয়ারকারটি, বিনোদনের কাজে বা উডুক্কু ট্যাক্সি হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
ক্লেইন ভিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, বিনিয়োগকারী ও পাইলট অ্যান্টন জাজাক বলেছেন, ‘এয়ারকারের মাধ্যমে আপনি এয়ারপোর্টে যাত্রা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঝামেলা এড়িয়েই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। আপনি এয়ারকারটি গলফ কোর্স, অফিস কিংবা হোটেলেও নিয়ে যেতে পারবেন এবং সাধারণ পার্কিংয়ের জায়গাতেই এটি পার্কও করতে পারবেন।’
এই এয়ারকারের দাম কতো হবে ও এটি কবে নাগাদ বাজারে আসবে, অবশ্য সেই বিষয়গুলো খোলাসা করেনি ক্লেইন ভিশন। তবে ইতিমধ্যেই একজন ক্রেতা পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।