দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাপ কখনও কাওকে ছাড়ে না। বহুদিন ধরে পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না। অবশেষে ধরা খেলো এসআই আকবর। গতকাল (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে যুবক রায়হান আহমদ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া (বরখাস্ত) দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। অবশেষে গত কাল ( ৯ নভেম্বর) তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পথে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত হতে জেলা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
সিলেট পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার খালেকুজ্জামান জানিয়েছেন, পুলিশের একটি দল তাকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। রায়হান হত্যাকাণ্ডের ২৮ দিন পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভিন্ন একটি সূত্র জানিয়েছে যে, দেশে গ্রেফতারের আদেশ জারি হওয়ার পর হতেই পালিয়ে বেড়ানো আকবর কৌশলে সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত পার হয়ে খাসিয়াদের মতো বেশভূষা ধরে সেখানেই অবস্থান করছিলেন। তবে তাকে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে আটক করে। তারপর তার হাত-পা বেঁধে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
উল্লেখ্য যে, গত ১১ অক্টোবর অফিস থেকে বের হয়ে বন্দরবাজার এলাকায় যাওয়ার পর এএসআই আশেক এলাহীর খপ্পরে পড়েন রায়হান আহমদ। এই সময় আশেক তাকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাাঁড়িতে নিয়ে যান। সেখানে টাকার দাবিতে পুলিশের পৈশাচিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন রায়হান। রাতে পুলিশের ফোন দিয়ে তার সৎবাবাকে ফোন করেন রায়হান। ১০ হাজার টাকা নিয়ে পরিবার সদস্যরা রাতে ওই ফাাঁড়িতে এলেও ততোক্ষণে গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে পরিবারের কাছে ফেরত না দিয়ে তাদেরকে ফেরত পাঠানো হয়। ওইদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেকে এলাহীসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের সময় হাসপাতালে মারা যান রায়হান। এই ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ এনে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। তারপর মহানগর পুলিশের তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে বন্দর বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে প্রত্যাহারও করে। বরখাস্তদের মধ্যে রয়েছেন–কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ এবং টিটু দাস। প্রত্যাহার হওয়া তিন পুলিশ সদস্য হলেন−এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী এবং কনস্টেবল সজীব হোসেন। এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন মূল অভিযুক্ত এসআই আকবর।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।