দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রূপকথা বা গেমিং জগতে নীল ড্রাগনের আধিপত্য ছিল অনেক আগে থেকেই। এমনকি গল্প, উপন্যাস থেকে শুরু করে অ্যানিমেশন বা কার্টুন সিরিজেও দেখা যেতো মুখ দিয়ে আগুন বের করে শত্রুকে ভয় দেখাতে। তবে এবার বাস্তবে দেখা পাওয়া গেছে নীল ড্রাগন!
পৃথিবীর জন্মলগ্ন হতে ডাইনোসর ও ড্রাগনের আধিপত্য থাকলেও ধীরে ধীরে তা বিলীন হতে থাকে। আকারে ও ক্ষমতায় সব দিক থেকেই ছোট হতে হতে এখন ঠেকেছে একেবারে টিকটিকির আকারে। বিশ্বের অনেক বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন বর্তমানের টিকটিকিই নাকি কোটি কোটি বছর আগে পৃথিবীতে দাবিয়ে বেড়ানো সেইসব ডাইনোসরের বংশধর। আবার এই দাবির বিপক্ষেও আছেন অনেকেই। ডাইনোসরের অস্তিত্ব মেনে নিলেও ড্রাগনকে কাল্পনিকই ভাবেন বিশ্বের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীরা।
তবে কেপটাউনের সমুদ্র সৈকতে এবার দেখা পাওয়া গেছে নীল রঙা একটি প্রাণীর। আকার আকৃতিই বলে দিচ্ছে ড্রাগন হতে পারে এই প্রাণীটি। সেখানকার স্থানীয় এক নারী মারিয়া ওয়েজেনের অন্যদিনের মতোই সেদিনও সৈকতের ধারে হাঁটছিলেন। হঠাৎ করেই অনেকগুলো নীল-রঙা প্রাণী দেখে চমকে উঠেন তিনি। ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করলেন সঙ্গে সঙ্গে। এরপরই প্রাণীটি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়ে যায়।
এই বিষয়ে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রতিষ্ঠান ইন্ডিপেন্ডেন্টের বরাতে জানা যায় যে, মারিয়া ওয়েজেনের জানিয়েছেন, বহু বছর ধরে তিনি এই সৈকতের কাছাকাছি থাকেন। ওই নারীর দাবি হলো, তিনি কোনো দিন এখানে এই ধরনের কোনো প্রাণী কখনও দেখেননি। তার চোখে স্টারফিস পড়েছে। সেগুলো হাতের কাছে পড়লেই তিনি আবার তাদের ধরে পানিতে ঠেলে দেন। তবে এই ড্রাগন প্রকৃতির প্রাণীটি দেখে তার বেশ সন্দেহ হয়।
তবে এই প্রাণীটির অস্তিত্ব রয়েছে অনেক দেশেই। সমুদ্রের বিভিন্ন জলজ প্রাণীর মতোই এটিও একটি। নীল রঙা এই সামুদ্রিক প্রাণীটির বৈজ্ঞানিক নাম হলো গ্ল্যাকাস আটলান্টিকাস। তবে ব্লু ড্রাগন নামেই এটি বেশি পরিচিত। এদের শরীরে যে হুলটি রয়েছে কোনো ভাবে এরা সেটি কারও শরীরে ফুটিয়ে দিলেই আক্রান্তের বমি-বমি ভাব লাগে, তখন ত্বকে অ্যালার্জি দেখা যায়, তখন অত্যন্ত যন্ত্রণাও হয় সারা শরীরে।
অবশ্য এদের আকৃতি খুব বেশি বড় হয় না। শত্রুর আক্রমণ হতে বাঁচতে ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারে এরা। লম্বায় খুব বেশি বড় হয় না। একটি পূর্ণ বয়স্ক নীল ড্রাগন আপনার হাতের তালুতেই ধরে নিতে পারবেন। বড় ড্রাগনের চেয়ে ছোটগুলো আরও বেশি বিপদজনক হয়। এদের কামড়ে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।