দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অরণ্যচ্ছেদন জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিসহ নানাবিধ কারণে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে ভয়ংকর বিপদের পূর্বাভাস দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণা করে দেখা যায় যে, বিগত ১০০ বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। বর্তমানে বিশ্বে পরিবেশগত প্রধান সমস্যাসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো বিশ্ব উষ্ণায়ন।
এই বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে যে মেরু অঞ্চলের বরফ গলন সমুদ্র জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে তা জানতে পারা যায় সম্প্রতি পরিবেশ বিজ্ঞানীদের সমুদ্র নিয়ে এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে বিশ্ব উষ্ণায়নের আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যায়, গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে দিন দিন বেড়েই চলেছে সমুদ্রের উপরিভাগের পানির তাপমাত্রা। এতোদিন যে পরিমাণ কার্বন তারা টেনে নিতো তা হ্রাস পাওয়াতেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈজ্ঞানিকরা। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পেয়েছে যেখানে এই পরিস্থিতিকে বিপদজনক বলে আখ্যা দিলেন বিজ্ঞানিরা।
পরিবেশের উপর মানুষ এতোদিন যেভাবে শোষণ চালিয়ে এসেছে তার দরুন আবহাওয়াগত প্রচুর বদলও এসেছে। যে কারণে বর্তমানে সমুদ্রের উপরের অঞ্চলে এবং উপরিভাগের পানি কম পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে তা নিচের দিকে চলে যাচ্ছে।
তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে বরফ গলে সমুদ্রের টাটকা পানির পরিমাণও বেড়ে যাচ্ছে। সমুদ্রের নোনা পানির তুলনায় বরফ পানি বেশি হালকা হওয়ায় সমুদ্রের উপরিভাগে এর জায়গাও হচ্ছে। বৈজ্ঞানিকদের আশঙ্কা হলো, সমুদ্রের ওপরে পানি যেভাবে গরম হয়ে উঠছে তাতে হ্যারিকেনের মতো সামুগ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের রোষে পড়তে পারে মানব সভ্যতা। এভাবে চলতে থাকলে পৃথিবীতে ঘনিয়ে আসতে পারে বিশাল এক দুর্যোগ।
গবেষণা অনুযায়ী ক্লাইমেট চেঞ্জ এর কারণে প্রচুর সামুদ্রিক প্রাণীরা ক্ষতিগ্রস্তও হবে, নিঃশেষ হয়ে যাবে অধিকাংশ সামুদ্রিক প্রাণী। সমুদ্রের উপরপৃষ্ঠের এই তাপ যেভাবে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে এর কুপ্রভাব সমস্ত স্থানে ছড়িয়ে পড়বে হিমবাহ। এভাবে চলতে থাকলে পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।