দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের কতো রকম স্বাদ আহ্লাদ থাকে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। শখের বষে মানুষ অনেক কিছুই করতে পারেন। যেমন এক কৃষক বাবা জমি বিক্রি করে ছেলের বিয়েতে হেলিকপ্টার ভাড়া করলেন!
কৃষকের ছেলের আবদার ছিলো হেলিকপ্টারে চড়ার। ছেলের সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন তারই কৃষক বাবা। সেজন্য বাবা সময় নিয়েছেন দীর্ঘ ২৭টি বছর। নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের সাহতা গ্রামে ঘটেছে এমন একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনার কৃষখ আবুল মনসুর খানের বড় ছেলে মেহেদী হাসান খান রনি শৈশবে হেলিকপ্টার উড়তে দেখে বাবার কাছে হেলিকপ্টারে চড়ার আবদার করেছিলেন। তখন তার ছেলের বয়স ছিল মাত্র ৮ বছর। ওই সময় বাবা বলেছিলেন, ঠিক আছে বড় হওয়ার পর তোমাকে হেলিকপ্টারে করেই বিয়ে দেবো।
সেই কথা ভোলেননি তার বাবা। অবশেষে ২৭ বছর পর ছেলের বিয়ের আয়োজনটাই হেলিকপ্টারে চড়িয়ে করলেন সেই বাবা। এর জন্য তাকে গুণে গুণে খরচ করতে হয়েছে ৩ লাখ টাকা! এর মাধ্যমে ছেলের শখ পূরণ হওয়ার পাশাপাশি তার জীবনের একটা স্মৃতিও হয়ে থাকলো।
নববধূ প্রকৌশলী জান্নাতুল ফেরদৌস আলিফা এবং বর মেহেদী হাসান খান রনির বিয়ে পারিবারিকভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। নববধূ হলেন ঢাকার বেইলি রোডের একজন ব্যবসায়ী আলমগীর কবিরের বড় মেয়ে।
এই বরের বাবা মো. আবুল মনসুর খান একজন কৃষক। ছেলের স্বপ্ন পূরণ করতে নিজের জমি বিক্রি করেছেন তিনি। ছেলের স্বপ্ন পূরণ করায় তিনি ভীষণ খুশি। বিষয়টি নিয়ে খুব খুশি এলাকাবাসীও।
এই বিষয়ে ছেলের বাবা আবুল মনসুর খান বলেছেন, বিয়ের দিন অর্থাৎ শুক্রবার দুপুর ১২টায় হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে রওনা হয় তার ছেলে। ওইদিনই বাড়িতে বউভাতের আয়োজন করা হয়েছিলো।
সংবাদ মাধ্যমকে প্রকৌশলী মেহেদী হাসান খান রনি বলেছেন, আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিলো হেলিকপ্টারে চড়ার। সেই স্বপ্ন আজ সত্যিই পূরণ হলো। এজন্য আমি বাবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞ।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পল্টন সরকার বলেছেন, হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের ঘটনা আমাদের এলাকায় এটিই প্রথম। আমি যতোদূর জানি, এর আগে বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়নে এভাবে কারও বিয়ে করার ঘটনা আগে আর ঘটেনি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।