যেভাবে আপনার শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে আগ্রহী করে তুলবেন

দি ঢাকা টাইমস্‌ ডেস্ক॥ সকল পিতা মাতা চন তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াতে। কিন্তু অনেকেই এক্ষেত্রে নানান বিড়ম্বনায় থাকেন। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস শৈশব থেকেই গড়ে তুলতে হয়। আজ আপনাদের কিছু টিপস জানাবো যা অনুসরণ করলে আপনার শিশু হয়ে উঠবে সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী।


১। এমন সব খাবারের আইটেম বাছাই করুন যা সম্পূর্ণ পরিবারের সবাই পছন্দ করে। অনেক পছন্দের আইটেমের মাঝে দু একটি ভিটামিনে ভরপুর আইটেমও রাখুন এতে করে সে সব আইটেম নজরে আসবেনা কিন্তু খাওয়া ঠিকই হয়ে যাবে।

২। খাবার হিসেবে যাই দেন না কেন কম কম করে দেয়ার চেষ্টা করুন এতে শিশুরা তৃপ্তি নিয়ে খাবে এবং তার খাবারের প্রতি অনীহা আসবেনা। অনেক সময় দেখা যায় পিতা মাতা ভাবেন বেশী বেশী খাবার দিলে শিশুর স্বাস্থ্য ভালো হবে কিন্তু এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বেশী বেশী খাবার দেয়ার ফলে শিশুর যদি একবার খাবারের প্রতি অনীহা চলে আসে তবে তাকে পরে সেই খাবার খাওয়ানো কষ্টকর হয়ে যাবে। সুতরাং যাই খাওয়ান না কেন তা অবশ্যই পুষ্টি কর এবং পরিমাণে পরিমিত হতে হবে।

Related Post

৩। আপনার শিশু যদি খাবার না খেতে চায় তবে শিশুর বন্ধুদের বাসায় খাবারের দাওয়াত দিতে পারেন এতে করে আপনার শিশু তার বন্ধুদের দেখে খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবে। মনে রাখবেন শিশুরা অনুকরণ প্রিয়!

৪। আপনার শিশু যদি খাবার খেতে অনীহা করে বা না খায় তবে শিশুর প্রিয় কোন ব্যক্তিকে দাওয়াত দিন যেমন চাচা, খালা, অথবা অন্য কেউ। এতে করে আপনার শিশু তার প্রিয় মানুষটির সাথে খেলতে খেলতে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবে।

৫। কখনই শিশুকে খাবারের জন্য জোর করবেন না, এতে করে আপনার শিশু খাবারের প্রতি এক ধরণের ভয় চলে আসতে পারে। একবার শিশু খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে ভয় বা অনীহা আসলে তাকে পরে খাবারের প্রতি আগ্রহী করা অনেক কঠিন।

৬। অনেক সময় শিশুদের দেখা যায় খাবার নিয়ে খেলা করতে! আপনি যদি দেখেন আপনার শিশু খাবার নিয়ে খেলা করছে তবে তাৎক্ষণিক সেখান থেকে খাবার প্লেট সরিয়ে ফেলুন। কারণ শিশু তার খাবার নিয়ে খেলা করা মানেই সে খাওয়া উপভোগ করছেনা। তাকে এসময় তার প্রিয় খাবার দিন।

৭। খাওয়ার সময় শিশুর জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা রাখুন। চেষ্টা করুন শিশুর খাবার সময়টিকে আনন্দ মুখর করে তুলতে। তাদের সাথে তাই করুন অথবা বলুন যা তারা পছন্দ করে। এতে শিশুরা পরের বার খাবার জন্য আগ্রহী হবে।

৮। ভারী খাবারের মাঝামাঝি সময়ে নাস্তা এবং পানীয় পানের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে শিশু যাতে খাবারের আগে নাস্তা ও পানীয় বেশী পান না করে এতে করে শিশুর ক্ষুদা থাকবেনা ফলে সে খেতে চাইবেনা।

৯। খাবারের পর শিশুকে অবশ্যই ফলের জুস অথবা পানি পানের জন্য বলুন। এতে করে শিশুর হজম ক্রিয়া ঠিক ভাবে চলবে।

১০। আপনার শিশু যখন ক্ষুধার্ত থাকবে তখন শিশুকে পুষ্টিকর নতুন ফল মূল খেতে দিন এতে সে নতুন ফল মুলের সাথে পরিচিত হবে। ফলে শিশুর নতুন খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।

সূত্রঃ ইন্ডিয়া টাইমস

This post was last modified on ডিসেম্বর ১০, ২০২৪ 2:25 অপরাহ্ন

Zia

"বাপের টাকার হিসেবে বড়লোক, নিজের টাকার হিসেবে গরীব। আল্টিমেট আমি নিজেকে গরীব ভাবি। কারণ বাবার টাকায় ফুটানি মারিনা।"

Recent Posts

শীতার্তদের পাশে দাঁড়ান

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৪ পৌষ ১৪৩১…

% দিন আগে

স্লিপিং মাস্ক মেখে ত্বকের জৌলুস বাড়িয়ে তুলুন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ ঘুমনোর সময় ত্বক ‘হিল’ হয়। তাই রাতের স্কিন কেয়ারের…

% দিন আগে

শাওমির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তামিম ইকবাল

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ের লেজেন্ডারি ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান মোবাইল…

% দিন আগে

কনকনে শীতেও স্বস্তির কারণ হতে পারে বড় এলাচ!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাদের শীত বেশি অর্থাৎ যারা শীতে একটুতেই কাতর হয়ে পড়েন…

% দিন আগে

বিয়ের ৩৩ বছর পর ধর্ম পরিবর্তন করলেন শাহরুখের স্ত্রী?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শাহরুখ খান এবং গৌরী খানের ৩৩ বছরের দাম্পত্য জীবনে ধর্ম…

% দিন আগে

কানাডাকে আবারও ৫১তম রাজ্য বানানোর প্রস্তাব দিলেন ট্রাম্প

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গত বছরের ডিসেম্বরের…

% দিন আগে