দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীতে অনেক রকমের দ্বীপ রয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু দ্বীপ আমাদের বিস্মিত করে অবাক করে। তেমনই একটি দ্বীপের গল্প রয়েছে আজ।
ভানুয়াতু হলো নিউজিল্যান্ডের একটি চমৎকার আইল্যান্ড। আমরা বইয়ে পড়েছি দেশটি সম্পর্কে। দক্ষিণ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের প্রায় ৮০টি দ্বীপ নিয়ে প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র ভানুয়াতু।’
১৬০৬ সালে এই দেশটি প্রথম খুঁজে পায় এক পর্তুগিজ নাবিক। তবে যিশুখ্রিস্টের জন্মের প্রায় ১৩০০ বছর পূর্বে দেশটিতে মেলোনেশিয়ানদের জনবসতি প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণও পাওয়া যায়।
এই মেলোনেশিয়ানদেরকে ১৯৮০ পর্যন্ত ফরাসি এবং ব্রিটিশরা স্বাধীন করেছে। সেজন্যই সেখানে ফরাসি ও ইংলিশ ভাষা মিশে রয়েছে দুটোর সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে ‘বিসলিমা’ ভাষা।
‘ভানুয়াতুতে যেতে যেতে কোনো বাংলাদেশী পাসপোর্টে ভিসা লাগে না। এটি মূলত অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, সোলেমান আইল্যান্ড, নিউ কেলোডোনিয়া দ্বারা বেষ্টিত। এর চেয়েও চমকপ্রদক হলো ‘ল্যান্ড ডাইভিং’। যাকে ছোট্ট করে বলতে গেলে বলা চলে ‘বাঁশের কেল্লা হতে লাফ দিয়ে দৌড়ানো’!
এটি এমনই এক আকর্ষণীয় ব্যাপার যে, পৃথিবীর আর কোথাও এ রকম কোনো খেলা নেই। সেজন্য কখন এই উৎসবটি হয়, সেটি জেনে ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসের ১৮ তারিখ ১১ দিনের জন্য জাহাজ ভ্রমণের কেবিন বুক করতে হয়।
‘ভানুয়াতুর অ্যাডভেঞ্চারাস ট্যুরে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গায় যাওয়া যাবে। আপনিও ইচ্ছে করলেই যেতে পারবেন।’ এক গল্পে শোনা যায়, কোনো এক সময় রানী এলিজাবেথ ভানুয়াতুতে আসেন। তিনিই একটি দ্বীপের নাম দিয়েছিলেন মিস্টরিয়াস আইল্যান্ড, এই দ্বীপটি সত্যিই রহস্যে ঘেরা এবং সৌন্দর্যে ভরপুর একটি দ্বীপ। তিনি পেন্টেকোস্ট এসে দেখেছিলেন সেই বাঁশেরকেল্লার লাফ দেওয়া দৌড়!
এই উৎসবের ইতিহাস এমন। স্বামীর যৌন ইচ্ছা বেশি হওয়ায় স্ত্রীকে সর্বদাই জ্বালাতন করতে থাকতেন। একদিন এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রী ঝগড়াও করছিলেন। স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে বাঁচতে একটা বটগাছের চূড়ায় উঠেছিলেন ও গোপনে তার পায়ের গোড়ালির চারদিকে একটি লতা বেঁধে রেখেছিলেন। গাছের উপরে স্ত্রীকে দেখে স্বামীও উপরে উঠেছিলেন।
স্ত্রী তাকে উপরে উঠতে দেখেই নিচে লাফিয়ে পড়লো। স্বামীও তার পেছনে পেছনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তবে স্বামী নিজের গোড়ালিতে লতা বাঁধেনি, যে কারণে স্বামী বেচারা সঙ্গে সঙ্গেই মারা গেলেন। এভাবেই স্ত্রী তার স্বামীকে ধোঁকা দিয়েছিলেন। সাধারণ নারীরা এই ধোঁকাকে কখনও মেনে নিতে পারেননি। তারাও এইভাবে মৃত্যুবরণ করতে থাকেন, কিন্তু তাতে গ্রাম থেকে লোক সংখ্যা কমে যাচ্ছিল।নারীরা গাছের উপর থেকে ঝাঁপ দিলে তাদের শরীরও বিবস্ত্র হয়ে যেতো।
তবে স্বামীরা তাদের স্ত্রীদেরকে এভাবে দেখতে মোটেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না। তাই নারীদের জন্য ওই খেলাটি নিষিদ্ধ করা হয়। পুরুষরা এভাবেই কয়েকশো বছর আগে ওই খেলাটির সূচনা করেন।
গাছ থেকে লাফিয়ে পড়াটা ধীরে ধীরে বিশেষভাবে নকশাকৃত কাঠের কেল্লায় পরিবর্তীত হয়। যা এখন পুরোপুরি বাঁশের কেল্লায় রূপ নিয়েছে। জীবনে একবার হলেও পেন্টেকোস্টের পুরুষদের এই লাফ দিতে হতো।
সেখানকার নিয়ম অনুযায়ী সাধারণত পরিবারের বড় ছেলে (১৬ বছর হলে) সামর্থ্য অনুযায়ী সৌভাগ্যের প্রমাণ দিতে তাকে ল্যান্ড ডাইভিং দিতে হয়। অনুষ্ঠানের দিনে ভোরে পুরুষরা নাম্বা ও নারীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক কোমরে পরেন। স্তনের যায়গায় কখনও কখনও যুবতীরা ঘাসের পাতা দিয়ে ঢেকে রাখেন।
এছাড়াও গ্রামের ১০ থেকে ২০ জন পুরুষ এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন। যা সত্যিই একটি বিরল ঘটনা হিসেবে দেখা হয়। এই দ্বীপের ঐতিহ্যটি বর্তমানে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসও করেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাই এই রহস্যে ঘেরা দ্বীপটি দেখতে আসেন বহু মানুষ। তারা এখানকার কালচার দেখে বিস্মিত হন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।