দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি কী কান খোঁচাতে ওস্তাদ? আপনি জানেন কী কান খোঁচানো কতোটা বিপদজনক? কান খোঁচাতে কটন বাড ব্যবহার কতোটা বিপদ ডেকে আনতে পারে তা আজ জেনে নিন।
আপনি কী নিয়মিতভাবে কটন বাড ব্যবহার করছেন? জেনে রাখুন, খুব ভুল করছেন আপনি। নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছেন আপনি।
কান ও কটন বাড, এই দুটির কানেকশন গভীর। সুযোগ পেলেই কান খোঁচানোর অভ্যেস অনেকেরই রয়েছে। ভাবছেন হয়তো, এক ঢিলে দুই পাখিই মারা হচ্ছে! কানও সাফসুতরো থাকছে, আবার আরামও হচ্ছে। তবে জেনে রাখবেন মোটেও তা নয়। বরং বিপদ আরও বাড়ছে।
সিংহভাগ লোকের মত হলো, বাড়িতেই নিয়মিত কান পরিষ্কার করা উচিত। কটন বাডই নাকি কান পরিষ্কারের সবচেয়ে নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য একটি উপায়। তবে গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা। এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই হয় বেশি। কানের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যে লম্বা লাইন পড়ে তার মধ্যে অনেকেরই সমস্যার কারণ হলো এই কটন বাড ব্যবহার।
কটন বাড ব্যবহারের কারণে কানের ভিতরের ময়লা আরও বেশি করে ভিতরে ঢুকে যায়। কানের পর্দার আরও খুব কাছে পৌছে যায় ময়লা। কানের মধ্যে থেকে যতোটা না ময়লা বের হয়, তার চেয়েও বেশি ভিতরেই থেকে যায়। কানে ক্ষত সৃষ্টির আশঙ্কা অনেকগুণ বেড়ে যায়। আঘাত লাগলে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ারও আশঙ্কা থেকে যায়। কানের হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে। শোনার ক্ষমতা হারানোর সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। নষ্ট হয়ে যেতে পারে আপনার শরীরের ভারসাম্যও।
এটি হয়তো ঠিক যে কটন বাড ব্যবহার আপনাকে সাময়িক আরাম দিতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। কটন বাড ব্যবহারের কারণে কানে সংক্রমণের আশঙ্কাও থেকে যায়। বহুদিন ধরে এটি ব্যবহার করার কারণে ছত্রাক সংক্রমণও হতে পারে। অহেতুক কটন বাড নিয়ে কান খোঁচাখুঁচি আসলেও বিপজ্জ্বনক। কানের ভিতরে চামড়ার নানা সমস্যা এবং ব্যথার কারণও এই কটন বাড। অনেকসময় কটন বাডের তুলোর খানিকটা অংশ কানে থেকে গিয়ে বিপদও বাড়ায়। কানের ময়লা সাধারণত বিশেষ কারণ ছাড়া পৃথকভাবে পরিষ্কার করার প্রয়োজন পড়ে না। প্রাকৃতিকভাবেই কানের ময়লাও বেরিয়ে আসে। প্রয়োজন হলে কান পরিষ্কারের জন্য চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। কানের সুস্থতার জন্য তাই এখনই কটন বাড ছাড়ুন। নয়তো আপনার বিপদ আরও বাড়তে পারে।
তথ্যসূত্র: জি নিউজ
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।