দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন এক আজব গাছের সন্ধান পাওয়া গেছে। যে গাছে ফল ধরে ৮০ বছর পর। আর একটি ফরের ওজন ২০ কেজি!
কোলকাতার শিবপুরের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বোটানিক্যাল গার্ডেনের বিজ্ঞানীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ১২৩ বছর পর দ্বিতীয় প্রজন্মের জন্মের জন্যই।
এই ফলের নাম ডাবল কোকোনাট বা দ্বৈত নারিকেল। বিজ্ঞানসম্মত নাম হলো লোডোসিয়া মালডিভিকা। এটি দেখতে অনেকটা নারকেলের মতোই।
একসঙ্গে দুটি নারকেল ফল পরস্পর লেগে থাকে। গাছটির এক-একটি ফলের ওজন ২০ কেজিরও বেশি হয়ে থাকে। যে কারণে ওই থোকাটির ওজন হয় ৪০ কেজির মতোই। এটি মূলত ভারত মহাসাগরের পশ্চিমে প্রসলিন দ্বীপপুঞ্জের গাছ।
এই ফলের গাছটি ভারতে আনা হয় লর্ড ক্লাইভের শাসনকালে। পরে ১৮৯৪ সালে বোটানিক্যাল গার্ডেনটির তৎকালীন প্রশাসক জর্জ কিংগ কতোগুলো গাছ নিয়ে আসেন যার মধ্যে এই একটিই এখন পর্যন্ত টিকে রয়েছে। বাকিগুলির কালের গহবরে মৃত্যু ঘটেছে।
বিরল এই গাছটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন ভারতের বোটানিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার ডেপুটি ডিরেক্টর ড. এস এস হামিদ।
এই বিষয়ে ড. এস এস হামিদ জানিয়েছেন, নারিকেলের সমস্ত প্রজাতির ফলগুলোর মধ্যে এটিই হলো বৃহত্তম। পৃথিবীতে এই গাছটির সংখ্যা খুবই কম অর্থাৎ হাতে গোনা। ডাবল কোকো নাটের একমাত্র প্রজাতি হলো এটি। এই গাছের আয়ু প্রায় ১২শ বছর বা তারও অধিক। বয়স যখন ৮০ বছর হয়, ঠিক তখন ফুল ফুটতে শুরু করে।
তারপর থেকে প্রতি বছরই ফুল ফোটে। অর্থাৎ আজ বোনা হলে প্রথম ফুলটি পাওয়া যাবে এর ঠিক ৮০ বছর পর! অথচ সাধারণ নারিকেল গাছে ফুল হয় বোনার ১০-১১ মাস পর।
ড. এস এস হামিদ আরও জানিয়েছেন, ভারতে অবস্থিত এই গাছটির ফুলগুলি মূলত স্ত্রী ফুল। তাই পরাগমিলনের জন্য শ্রীলঙ্কা হতে পুরুষ ফুল আনা হয়। তবে সেটি সফল হয়নি। অবশেষে থাইল্যান্ড হতে স্পিড পোস্টে পুংরেণু নিয়ে এসে পরাগযোগ করা হয়। যদি এই প্রক্রিয়াটি সফল হয় তাহলে বছর ৪/৫ পর অর্থাৎ আগামী কিছুদিনের মধ্যেই অঙ্কুরিত হবে ডাবল কোকো নাটের এই বীজটি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।