দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার নিভৃত পল্লী আলিপুর গ্রামে ১০৮ কক্ষবিশিষ্ট দ্বিতল মাটির বাড়িটি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান হতে বহু দর্শনার্থীর আবির্ভাব ঘটে।
নওগাঁ শহর হতে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার ও মহাদেবপুর উপজেলার সদর হতে দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে এই আলিপুর গ্রাম অবস্থিত।
নওগাঁ-মহাদেবপুর আঞ্চলিক সড়কের তেরো মাইল নামক মোড় হতে পশ্চিমে ৫ কিলোমিটার দূরে পিচঢালা পথ পেরিয়ে যে কোনো যানবাহনে যাওয়া যাবে ওই গ্রামটিতে।
যেতেই রাস্তার ডান পাশে যে কারও নজর কাড়বে রং করা কালো এই বাড়িটির দিকে। তবে পাকা রাস্তা হতে ১০০ ফুট দূরে পুকুর ও সেই পুকুর পাড়েই অবস্থিত ওই কাঙ্ক্ষিত বাড়িটি। দর্শনার্থীদের আসার সুবিধার জন্য কয়েক মাস পূর্বে পাকা রাস্তা হতে বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ২০০ ফুট ইটের হিয়ারিং রাস্তাও তৈরি করা হয়।
জানা যায়, ১৯৮৬-৮৭ সালে এই গ্রামের সম্পদশালী সহোদর সমশের আলী মণ্ডল এবং তাহের আলী মণ্ডল প্রায় ৯ মাস সময় নিয়ে ১০৮ কক্ষবিশিষ্ট মাটির দ্বিতল এই বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়িটি ৩ বিঘা জমির ওপর নির্মিত। যার দৈর্ঘ্য হলো প্রায় ৩০০ ফুট ও প্রস্থ ১০০ ফুট।
বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৮০ জন কারিগর দ্বারা এই বাড়িটি সম্পূর্ণ করতে সময় লাগে প্রায় ৯ মাস। বাড়িটি তৈরিতে পশ্চিম পাশে একটি পুকুরও খনন করা হয়। অপরকিকে বাড়িটির ছাউনির জন্য টিন লেগেছে ২শ’ বান্ডিল। বাড়িসহ আশপাশের জমি রয়েছে অন্তত ২১ বিঘা।
জানা যায়, এই বাড়িটির সৌন্দর্য বাড়াতে চুন ও আলকাতরার প্রলেপও দেওয়া হয়েছে। মাটির এই বাড়িটি দেখতে অনেকটা প্রাসাদের মতোই। বাড়িটির নাম ‘মণ্ডল ভিলা’ হলেও বর্তমানে ‘নওগাঁর মাটির প্রাসাদ’ নামেই অধিক পরিচিতি পেয়েছে। বিশাল এই বাড়িটিতে প্রবেশের জন্য দরজা রয়েছে ১১টি। একাধিক দরজা রয়েছে প্রতিটি ঘরে। বাড়িটির দোতলায় উঠার সিঁড়ি রয়েছে ১৩টি। বিশাল এই বাড়িটিতে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪০ জন মানুষ বসবাস করেন।
মৃত তাহের আলী মণ্ডলের স্ত্রী গৃহকর্তী হালিমা বেগম বলেন, কয়েক বছর থেকেই বাড়িটি দেখার জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান হতে বহু মানুষ আসছেন। বিশেষ এই বাড়িটি যেনো পর্যটনের একটি অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।