দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই আধুনিক যুগেও যাদুবিদ্যা নিয়ে এভাবে পরীক্ষা করা হবে তা বোধহয় কেও ভাবতেও পারেননি। ঠিক তাই ঘটেছে ভারতে। যাদুবিদ্যার পরীক্ষা করতে দুই মেয়েকে খুন করেছেন এক দম্পতি!
পুরোনো দিনের সেইসব কুসংস্কারকে মানুষ এখনও দূর করতে পারেনি। তাইতো এখনও সেইসব কুসংস্কার এখনও মাঝে মধ্যেই আমাদের ভাবিয়ে তোলে। এবার এমনই একটি ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছে। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুরের ঘটলো একটি নারকীয় ঘটনা। নিজেদের দুই মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করলেন তথাকথিত ‘উচ্চশিক্ষিত’ বনে যাওয়া কুসংস্কারচ্ছন এক বাবা-মা।
অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুরের এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির পুরো রাজ্য জুড়ে। গত ২৪ জানুয়ারি রাতে ঘটে এই জোড়া খুনের ঘটনা। চিত্তুরের মদনপল্লে ব্লকের আঁখিশেত্তিপল্লে গ্রামের শিবনগর কলোনিতে ঘটনাটি ঘটে। ইতিমধ্যেই হত্যাকারী বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ। এই ঘটনার নেপথ্যের কারণ জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
তবে লক্ষণীয় বিষয় হলো পুরো পরিবারই উচ্চশিক্ষিত পরিবার। সরকারি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল অভিযুক্ত পিতা মাল্লারু পুরুষোত্তম নাইডু। তার ওই দুই মেয়ের মা পদ্মজাও, আঙ্কে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত এবং একটি বেসরকারি কলেজের অধ্যাপক।
বাবা-মায়ের হাতে খুন হওয়া তাদের বড় মেয়েটি ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২৭ বছর বয়সী ওই তরুণী লকডাউনের কারণে বাড়ি চলে আসেন এবং আইএএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। ২৩ বছর বয়সী ছোট মেয়ে এমবিএ করার পর এআর রেহমান অ্যাকাডেমিতে গান শিখছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে যে, কিছুদিন পূর্বেই শিবনগরের বাড়িতে আসে এই পরিবারটি। আঞ্চলিক সূত্রে বলা হয়েছে, পুরো পরিবারই অত্যন্ত ধর্মীয় ছিল এবং লকডাউনে নিয়মতিভাবে বাড়িতে পুজো পাটও চলতো।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণিতে জানা যায়, তারা দাবি করেন যে, মৃত মানুষকে বাঁচিয়ে তোলার ক্ষমতা নাকি তাদের রয়েছে। এই কুসংস্কারে বশবর্তী হয়ে দুই যুবতী মেয়েকে খুন করেন উচ্চশিক্ষিত এই দম্পতি। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখে যে, মেঝেতে পড়ে রয়েছে দুই নিথর মৃতদেহ। আর তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারদিক।
অথচ কোনো হেলদোল নেই ওই বাবা-মায়ের। বরং তারা পুলিশকে বাধা দিয়ে বলতে থাকেন যে, ‘আপনারা এখান থেকে চলে যান। রাতটুকু আমাদের সময় দিন। ওদের বাঁচিয়ে তুলবো আমরাই।’ পুলিশ তাদের কথায় সাড়া না দিয়ে দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পাঠানোর পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত বাবা-মাকে।
উল্লেখ্য, মৃত মানুষকে বাঁচিয়ে তোলার ‘সঞ্জীবনী মন্ত্র’ কতোটা রপ্ত করতে পেরেছেন তারা, সেই পরীক্ষা করতেই পিছন থেকে ডাম্বেল দিয়ে দুই মেয়ের মাথায় সজোরে আঘাত করেন ভাল্লেরু পুরুষোত্তম নাইডু এবং পদ্মজাদেবী। তারপরই তাদের মৃত্যু ঘটে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।