দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যতগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আভাস আগে থেকে দেয়া সহজ কাজ নয়, তার মধ্যে ভূমিকম্প অন্যতম। তাই ভূমিকম্প নিয়ে গবেষণা করাটাও দূরহ ব্যাপার। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা কৃত্রিম ভূকম্পন তৈরি করার মাধ্যমে নিরাপদ বিল্ডিং তথা স্থাপনা যাচাই করার পরিকল্পনা করছেন।
স্ট্রাকচারাল প্রকৌশলীদের একটি দল এবং তাদের নেতৃত্বে থাকা জন হোকিনস একটি বিল্ডিং এ ভূকম্পন সংগঠিত করতে সক্ষম হন। ল্যাব নির্মিত ভূকম্পনে দোতালা বিল্ডিংটি কিভাবে টিকে থাকতে পারে তা গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করেন। সেন্সর এবং ক্যামেরার মাধ্যমে গবেষকরা প্রতিটি দৃশ্য খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। নিউইয়র্কের এই গবেষণাটি তিন বছর আগে শুরু হয়েছিল এবং এতে যুক্ত আছে ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী এবং স্টিল ইন্ডাস্ট্রির ডিজাইন পরামর্শকবৃন্দ।
গবেষণাটি কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই করা সম্ভব ছিল কেননা যুক্তরাষ্ট্র কৃত্রিম ভূকম্পন তৈরি করার ক্ষমতা রাখে। ৫০ ফুট দীর্ঘ, ২০ ফুট চওড়া এবং ২০ ফুট উচ্চতার বিল্ডিংটিতে কৃত্রিম ভূকম্পন তৈরী করার ফলে গবেষকরা অনেকগুলো বিষয় এবং বিল্ডিং কোড এর নতুন কিছু নিয়ম তৈরি করতে পেরেছেন। আর তাই বিল্ডিং কোড এ ব্যবহৃত স্টীল ব্যবহারের নিয়মে বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে।
নতুন কোড অনুসারে, বিল্ডিং বা কোন স্থাপনা নির্মাণে কোল্ড ফর্মড স্টিল ব্যবহার করাটা অধিকতর লাভজনক এবং সাশ্রয়ী হবে। যেসকল স্থাপনা কাঠ কিংবা হট রোলড স্টিল নির্মিত, সে তুলনায় কোল্ড ফর্মড স্টিল অধিক কার্যকরী। কোল্ড ফর্মড স্টিল পরিবেশ বান্ধব এবং শতভাগ রিসাইকেলিং যোগ্য। ধারণা করা হচ্ছে, কৃত্রিম ভূকম্পনে স্ট্রাকচার ডিজাইন আরো বিশ্লেষণপূর্বক বিভিন্ন তথ্যাদি বের করে আনবে যা স্থাপনা নির্মানে নিরাপত্তাসহ অবকাঠামোগত অনেক পরিবর্তন এর সূচনা করবে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস