দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ধারনা করছে, স্কুলগামী ছেলেদের একটি বড় অংশ ‘মেয়েলি’ স্বভাবের হয়ে উঠেছে। তাই তাদের ‘পুরুষত্ব’ ফেরাতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
সে কারণে ছেলে শিশুদের জন্য শরীরচর্চা ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্কুলগুলোতে আরও ক্রীড়া প্রশিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ক্লাসগুলোকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর সুপারিশও করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রের এক খবরে জানা যায়।
চীনের টুইটার খ্যাত মাইক্রোব্লগিং সাইট ওয়েইবোতে গত সপ্তাহে এমন একটি পরিকল্পনার কথা প্রকাশিত হলে এর পক্ষে-বিপক্ষে ঝড় ওঠেছে দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
বিষয়টি নিয়ে একটি হ্যাশট্যাগ ১৫০ কোটির বেশিবার দেখেছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা। এদিকে চীনা শিক্ষাবিদরা একে ‘পুরুষত্বের সংকট’ বলেও অবহিত করেছেন।
জানা যায়, গত বছরের মে মাসে চীনের পিপলস কনসালটেটিভ কনফারেন্সের স্ট্যান্ডিং কমিটির শীর্ষ প্রতিনিধি শি জেফু ‘পুরুষ সন্তানদের মেয়েলিভাব মোকাবিলা’ শীর্ষক প্রস্তাবনাও দেন। তার ওপর ভিত্তি করেই সাম্প্রতিক সময় ওইসব পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সাম্প্রতিক সময় সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে চীন। তবে এ জন্য এক সন্তাননীতির আওতায় জন্ম নেওয়া ছেলে শিশুদের দুর্বল মনোভাব ও মেয়েলি স্বভাবের বলে মনে করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। যে কারণে টেলিভিশন সম্প্রচারে পুরুষ পপতারকাদের কান ফোঁড়ানোর বিষয়টি ঝাপসা করে দেখানো হয়। রূপচর্চা সচেতন অনেক অভিনেতাকে ‘লিটল ফ্রেশ মিট’ মতো অপমানজনক সম্বোধন করা হয় জনসাধারণের বিভিন্ন আলোচনায়।
অনেক অভিভাবক এই ধারণার বশবর্তী হয়ে সামরিক প্রশিক্ষণের আদলে গড়ে ওঠা শরীরচর্চা কেন্দ্রে ছেলে শিশুদের পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এতে সন্তানরা ‘প্রকৃত পুরুষ’ হতে পারবে বলেই তাদের বিশ্বাস।
শি জেফু এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘স্কুলে নারী শিক্ষকদের প্রাধান্য ও পপ কালচারের ‘সুন্দর বালক’ হয়ে ওঠার জনপ্রিয়তা হতে পুরুষ শিশুরা ‘দুর্বল ও নম্র’ স্বভাবের হয়ে ওঠছে। ছেলে শিশুরা আর যুদ্ধক্ষেত্রের নায়ক হতে চান না। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে চীনের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলেও মনে করছেন তিনি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।