দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুক আইন বদলের আর্জি জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ড স্কুলে বন্দুকধারীর হামলার তিন বছর পূর্তিতে তিনি এই কথা জানান।
সেই দিনটিকে স্মরণ করেই রবিবার বাইডেন বলেন, কংগ্রেসের কাছে অনুরোধ, পার্লামেন্টে বন্দুক আইন সংশোধনের বিল নিয়ে আসা হোক।
বাইডেন এদিন দাবি করেছেন যে, তাঁর সরকার পরবর্তী মাস শুটিংয়ের জন্য অপেক্ষা করবেন না। যতো দ্রুত সম্ভব বন্দুক আইন বদলের চেষ্টা করবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, আইন বদল করতে হলে প্রথমেই তা কংগ্রেসে আনতে হবে। সেখানে বিল পাশ হলে তা যাবে সিনেটে। সিনেট সেই বিলকে ছাড়পত্র দিলে তবেই প্রেসিডেন্ট সই করে বিলকে আইন বানাতে পারবেন।
পার্কল্যান্ডের স্কুলে বন্দুকধারী হামলা চালানোর পর ডেমোক্র্যাট অধ্যুষিত মার্কিন কংগ্রেস বন্দুক আইন সংশোধনের একটি বিলও এনেছিল। তবে রিপাবলিকান অধ্যুষিত সিনেট সেই বিল পাশ হতে দেয়নি। যে কারণে তখন বন্দুক আইন পরিবর্তন করাও সম্ভব হয়নি। এদিন বাইডেনের বক্তব্যের পর মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যানসি পালোসি বলেছেন যে, আবারও কংগ্রেসে বন্দুক আইন বদলের বিল আনা হবে।
বাইডেনের বক্তব্য হলো, যে প্রক্রিয়ায় বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে বন্দুক কেনা যায়, সেই প্রক্রিয়ায় বদল করা দরকার। যিনি বন্দুক কিনছেন, তাঁর বিষয়ে অবশ্যই সমস্ত তথ্য থাকতে হবে পুলিশের কাছে। পুলিশ ছাড়পত্র দিলে তাহলেই বন্দুক কেনা যাবে। বন্দুকের ম্যাগাজিনের মাপ কখনও বড় হবে না। আবার উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বন্দুক খোলা বাজারে বিক্রি করা যাবে না। ওই ধরনের বন্দুক নিয়ে যদি বন্দুকধারী হামলা চালায়, তাহলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাইডেন এদিন আরও বলেছেন, নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। নাগরিক ও কমিউনিটি কিংবা গোষ্ঠী যাতে নিরাপদে থাকে, সেটি দেখার দায়িত্ব সরকারের। সেই কারণেই বন্দুক আইন বদল হওয়া প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, তিন বছর আগে ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে ফ্লোরিডার স্কুলে হামলা চালায় ১৯ বছর বয়সী নিকোলাস ক্রুজ। ১৪ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং তিনজন শিক্ষাকর্মীর মৃত্যু হয় ওই ঘটনায়। নিকোলাসের এখনও বিচার চলছে। পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে যে, ওই ব্যক্তির মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। তা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তি কীভাবে বন্দুক কিনেছে, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।