দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-২০০ বিমানটি।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ পরই ডানদিকের ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ ঘটে ও আগুনে পুড়ে সেটির অংশবিশেষ খসে পড়ে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এয়ারলাইন্সটির সব বিমানের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শনিবার কলোরাডোর ডেনভারে বিমানবন্দরে ঘটে এমন একটি ঘটনা। কোনোমতে বেঁচে যান বিমানের ২৩১ যাত্রী ও ১০ জন ক্রু। উড্ডয়নের পরপরই বিমানের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো এলাকা।
এই সময় ভেতরে যাত্রীরা গগন বিদারী চিৎকার করতে শুরু করে দেন। তবে পাইলটের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত বিস্ময়করভাবে বিমানটি জরুরি অবতরণ করতে সক্ষম হয়। ওই বিমান হতে ছিটকে পড়া টুকরো আশেপাশের আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জাপান বলেছে যে, যেসব এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজে প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি ৪০০০ ইঞ্জিন ব্যবহার করছে, এমন সমস্ত বিমানই যেনো তাদের আকাশসীমা এড়িয়ে চলে।
বোয়িং বলেছে, তারা জাপানের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন এবং একই ইঞ্জিন সম্বলিত বোয়িং ৭৭৭ এর সব কার্যক্রম তারা স্থগিত করার সুপারিশও করেছে। ইতিমধ্যেই ইঞ্জিন ব্যর্থতার ওই ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে যে, বর্তমানে এই ইঞ্জিনটিসহ বিশ্বব্যাপী ৬৯টি বোয়িং ৭৭৭ সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বিমান প্রশাসন কিংবা ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) এর মতে, ইউনাইটেড হলো আমেরিকার একমাত্র বিমান সংস্থা যারা এ জাতীয় বিমান পরিচালনা করছে। এর বাইরে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এই ধরণের বিমান চালিয়ে আসছে।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হনলুলুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ইউনাইটেড এয়ারলাইনস এর ওই ফ্লাইট ৩২৮ এর ডান দিকের ইঞ্জিনটি বিকল হয়ে যায়।
এই ঘটনার পর সংস্থাটি প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি ৪০০০ ইঞ্জিন সংযুক্ত বোয়িং ৭৭৭ বিমানগুলো বিশেষভাবে খতিয়ে দেখার নির্দেশও দিয়েছে।
এফএএ-এর প্রশাসক স্টিভ ডিকসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা গতকালের ঘটনার পর নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই পর্যালোচনা করেছি। প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই মডেলের ইঞ্জিনে যে বিশেষ ধরণের ফাঁপা ফ্যান ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলোর ব্লেড পরীক্ষা নীরিক্ষা আগের চাইতে আরও বাড়াতে হবে। কারণ এই ফ্যান শুধুমাত্র বোয়িং ৭৭৭ বিমানেই ব্যবহৃত হয়।” এফএএ এবার ওই ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠান ও বোয়িংয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।