দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারা দেশে বিদ্যুৎ যেমন ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে, ঠিক তেমনি সাশ্রয়ী মূল্যের দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে যাবে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে।
দেশের সবগুলো ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়ে আউটসোর্সিংসহ বিভিন্ন করম অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে কর্মসংস্থান বাড়াতে চায় বর্তমান সরকার। সেজন্য পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় চুক্তিও করা হবে। তারপর দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন হতে গ্রাম পর্যন্ত সংযোগ এবং ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেবে বলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
আইসিটি বিভাগের অধীন স্টাবলিশিং ডিজিটাল কানেকটিভিটি (ইডিসি) প্রকল্পের আওতায় গ্রাম পর্যায়ে ১ লাখ ১০ হাজার কানেকটিভিটি পয়েন্ট ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর।
এই বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ইউনিয়ন পর্যন্ত ফাইবার অপটিক কেবল নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণে আমরা ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম, যার মাধ্যমে প্রায় সব ইউনিয়নেই ইতিমধ্যেই ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছে গেছে। এই উদ্যোগে ১০ কোটি মানুষকে কানেকটিভিটির আওতায় আনা হবে। এতে আউটসোর্সিংসহ অন্যান্য কাজে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান এবং জিডিপি ১ শতাংশ বাড়বে বলেই আমরা আশা করছি। সচিবালয়সহ দেশের প্রতিটি সরকারি দপ্তর বর্তমানে ইন্টারনেটে সংযুক্ত। আমাদের লক্ষ্য ইউনিয়ন পর্যন্ত সব দপ্তরকে ইন্টারনেটে সংযুক্ত করণ।
আইসিটি বিভাগের অধীনে ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সামিট কমিউনিকেশনস এবং ফাইবার অ্যাট হোম। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের সব ডিজিটাল সেন্টারে (ইউডিসি) বিপিও সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। গ্রামে-গঞ্জে তথ্য-প্রযুক্তি সেবার মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান তৈরি ও দারিদ্র্য এবং ডিজিটাল বৈষম্য রোধ, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন, গ্রামবাসীর জন্য সরকারের সেবা উন্নত করাসহ নানা উদ্যোগও হাতে নেওয়া হয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।