দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের মধ্যে অনেকেরই কানে শো শো করার সমস্যা রয়েছে। এমন সমস্যা হলে কী করতে হবে তা আমরা বুঝে উঠতে পারি না। আজ রয়েছে কানে শো শো করা সমস্যা নিয়ে করণীয়।
আমাদের কান নিয়ে অনেক সময় ঝামেলায় পড়তে হয়। কানের এমন একটি সাধারণ সমস্যা হলো শো শো শব্দ শোনা। বিশেষ করে বয়সী লোকদের মুখে অনেক সময়ই কানে শো শো করার কথা শোনা যায়। অনেকেই কান নিয়ে এমন ধরনের অভিযোগকে তেমন একটা গুরুত্বই দিতে চান না। কানে শো শো করা যে কোনো অসুখের উপসর্গ হতে পারে সে কথাটি তারা মোটেও মানতে রাজি নন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এস এম খোরশেদ মজুমদার এই বিষয়ে বলেছেন, “বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কানের শ্রবণ ক্ষমতাও কমতে থাকে। তখন কানে শো শো করাটা এই শ্রবণ শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ার কারণেই ঘটতে থাকে। বেশির ভাগ মানুষেরই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কানে শো শো করা শব্দ পেতে থাকেন। তবে কেও কেও আবার এই বিষয়ে অভিযোগও করেন। আবার কেও কেও কোনো অভিযোগও করেন না।”
প্রফেসর ডা. এস এম খোরশেদ মজুমদার বলেছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কানে শো শো করার উপসর্গ দেখা দিতেই পারে। সে জন্য তেমন কোনো দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তবে দুই কানে একই সঙ্গে শো শো না করে যদি কারও একটি কানে শো শো শব্দের উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। কারণ হলো টিউমার কিংবা অন্য কোনো রোগের কারণে এমন শো শো শব্দ হয়ে থাকে। এমন অবস্থায় দেরি না করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।’’
প্রফেসর ডা. এস এম খোরশেদ মজুমদার বলেছেন, চিকিৎসকরা এই ধরণের রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে তখন কানে নানা ধরণের সমস্যা দেখতে পান। হতে পারে কানে কোনো ময়লা জমেছে কিংবা পানি জমেছে ইত্যাদি। অথবা কানের পর্দার বয়সের কারণে কানে শো শো করাটা বয়সী মানুষের জন্য অনেক সময় বেশ কষ্টকর সমস্যা হয়েও দেখা দিতে পারে। সে কারণে পরিবারের বয়সী সদস্য কারও সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগ করতে পারেন না অর্থাৎ কারও কথায় তিনি ভালোভাবে শুনতেও পারেন না।’’
প্রফেসর ডা. এস এম খোরশেদ আরও জানান, “বয়সজনিত কারণে কানে শো শো শব্দ শোনা যায় তা সাধারণভাবে কোনো চিকিৎসা বা ওষুধ দিয়ে সারিয়ে তোলা সম্ভব না। এই জাতীয় রোগের সেরা চিকিৎসা হতে পারে হেয়ারিং এইড কিংবা শ্রবণ যন্ত্র। ডিজিটাল হেয়ারিং পাওয়া যায় যা দামে মোটেও খুব বেশি নয়। এসব শ্রবণ যন্ত্র কানে লাগালে কোনো রকম সমস্যায় দেখা দেয় না। তবে দেখা যায় যে, চোখে দেখার সমস্যা হলেই চশমা নিতে অনেকেই কোনো দ্বিধা করেন না। তবে কানের সমস্যার জন্য হেয়ারিং এইড কিংবা শ্রবণ যন্ত্র নেওয়ার কথা বলা হলে অনেকেই নানা রকম দ্বিধা বোধ করেন। প্রফেসর ডা. এস এম খোরশেদ মজুমদার মনে করেন, এই জাতীয় মনোভাব সকলের ত্যাগ করা উচিত। সব কিছুরই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ সময় থাকতে চিকিৎসা না করালে ছোট সমস্যাও এক সময় বড় আকার ধারণ করে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।