দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারে ১ ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর হতে অব্যাহত প্রতিরোধ বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনী কঠোর থেকে আরও কঠোরতর হচ্ছে। রবিবার ছিল সেনা অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন। এদিন ৫০ জন নিহত হয়।
মিয়ানমারের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভে এদিন সৈন্যরা গুলি চালালে ৫০ জনের মতো মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে। খবর বিবিসি বাংলার।
জানা যায়, সেনাবাহিনী সারা দেশ জুড়ে আরও নতুন নতুন এলাকায় কঠোরভাবে সামরিক আইন আরোপ করা শুরু করেছে।
অভ্যুত্থানের পর হতে অং সান সুচি, যার দল এনএলডি নভেম্বরে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তিনি কোথায় রয়েছেন তা পরিষ্কার নয়। তাকে অজ্ঞাত জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার তাকে আদালতে হাজিরের কথা থাকলেও ভার্চুয়াল শুনানি মুলতবি করা হয়েছে।
এদিকে সেনা অভ্যুত্থানের পর হতে সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হচ্ছে মিয়ানমারের সাবেক রাজধানী ও দেশের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে। রবিবার ওই শহরে চীনা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা হলে শহরের দুটি এলাকায় সামরিক আইন জারি করা হয়।
ইয়াঙ্গুনের হ্লাইং থারাইয়ার এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানা রয়েছে যেগুলো চীনা বিনিয়োগে পরিচালিত হয়। চীনারা বলছে, তাদের কারখানাগুলো বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে, যে কারণে তাদের নিরাপত্তা প্রয়োজন।
চীন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, বিক্ষোভকারীরা রড, কুঠার ও পেট্রোল নিয়ে আক্রমণ চালিয়ে অন্তত ১০টি কারখানার ক্ষতিসাধন করেছে। এগুলো মূলত তৈরি পোশাকের কারখানা বা গুদাম। একটি চীনা হোটেলও হামলার লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।
মিয়ানমারের চীনা দূতাবাস তাদের ফেসবুক পাতায় লিখেছে যে, কারখানাগুলোতে লুঠপাট করা হয়েছে, ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। বহু চীনা কর্মী আহত হয়েছেন এবং অনেকেই আটকে পড়েছেন।
ওই এলাকায় রবিবার দিনভর গুলির শব্দও শোনা যায়। রাস্তায় সেনাবাহিনীর ট্রাকও দেখা গেছে। বিক্ষোভকারীর বালির বস্তা, টায়ার ও কাঁটাতার দিয়ে অবরোধ তৈরি করেছে। কিছু বিক্ষোভকারীকে দেখা যায় অস্থায়ী ঢাল তৈরি করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে আহতদের উদ্ধার করার লক্ষ্যে।
বিবিসির সংবাদদাতা বলেছেন, “যে সরকারকে তারা ক্ষমতাচ্যুত করেছে তাদের সঙ্গে আপোষের কথা বিবেচনা করার বিন্দুমাত্র কোনো লক্ষণই দেশটির সেনাবাহিনী এখনও দেখাচ্ছে না।’’
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।