দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাদের ঘুম হয় না তাদের জন্য রাত এক ধরনের বিভীষিকা বলা যায়। সারাদিনের ক্লান্তি ও ব্যস্ততার পরে ঘুমিয়ে একটু শান্ত হওয়ার উপায় থাকে না অনেকের! ঘুমের জন্য ক্ষতিকর কয়েকটি খাবার সম্পর্কে আজ জেনে নিন।
অনেকেরই অনিদ্রা কিংবা ইনসমনিয়ায় রোগ রয়েছে। অনেকের ঘুম আসতে দেরি হয়, কারও কারও আবার ঘুম রাতে ভেঙে যায়। নিজেকে বালিশে চেপে রাখলেও যেনো ঘুম নিড় হারা পাখি হয়ে উড়ে বেড়ায়। বলা হয় যে, এমন নিদ্রাহীনতার সমাধান কখনও ওষুধে নয়, দরকার আচরণগত কিছু পরিবর্তন। আচরণগত পরিবর্তনের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসের কিছু পরিবর্তন অন্যতম একটি বিষয়। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা অনিদ্রার রোগীদের না খাওয়াই ভালো। কারণ এসব খাবার থেকে রাসায়নিক সৃষ্টি করে, যা মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করে ঘুম দূর করে থাকে।
গ্রিন টি
আমাদের মধ্যে অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতনার কথা মাথায় রেখে গ্রিন টি খেয়ে থাকেন। তবে এক কাপ গ্রিন টি আপনার রাতের সেই নির্ঘুম রাতের কারণ হয়ে দাড়াবে। তাই রাতে গ্রিন টি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
কফি
অনেকেই সারাদিনের ব্যস্ততার ফাকে নিজের জন্য সময় খুঁজতে কফির কাপে চুমুক দেন। তবে সারাদিনে অতিরিক্ত কফি খেলে তা আপনার ঘুমের প্রচণ্ড ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। কফির অ্যাসিডিক উপাদান আপনার মস্তিষ্ককে সজাগ রেখে ঘুম তাড়িয়ে দেবে। তাই আপনাকে কফি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
ফাস্টফুড
ফাস্টফুড ধরনের খাবার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে বা এটি দ্রুত ক্ষুধাও মেটায়। তবে কখনই এটি আপনার শরীরের জন্য উপকারী নয়। উচ্চ চর্বিযুক্ত এসব খাবার পেটে এসিড তৈরির পাশাপাশি শরীরে জ্বালাপোড়ার কারণও হয়ে দাঁড়ায়। যা মানব দেহের ঘুম না আসার জন্য দায়ী। শুধু তাই নয় বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলায় ভালো।
চকলেট
ঘুমোতে যাওয়ার আগে চকলেট ঘুমের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সাধারণত ডার্ক চকলেটে ক্যাফেইন থাকে, তাই ঘুমের আগে এটি খেলে ঘুম আসতে দেরি হবে। একইভাবে আপনাকে ঘুমের আগে আইসক্রিম খাওয়া পরিহার করতে হবে।
অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন
মশলাদার খাবার সবার পছন্দ। তবে এসব খাবার দ্রুত হজম হবে না এবং আপনার পেটে গ্যাসের সমস্যাও নিয়ে আসতে পারে। তাই নির্বিঘ্ন ঘুম চাইলে রাতে অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলায় ভালো।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।