দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই জানিনা কেনো মাথা ব্যথা হয়। তবে সাধারণভাবে বোঝা যায় চোখের কোনো সমস্যা থাকলেও মাথা ব্যথা হতে পারে।
চোখ বা চোখের আশপাশে কোনো কারণে ব্যথা হলে প্রাথমিক পর্যায়ে অনেকেরই মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। শুধু যে চোখ ব্যথা হলেই চোখের অসুখ তা অবশ্য নয়, চোখ ব্যথা চোখের রোগ থেকেও হতে পারে, আবার শারীরিক অন্য রোগ থেকেও সেটি হতে পারে।
আবার কোনো রোগ ছাড়াও ব্যথা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যদি চশমার প্রয়োজন পড়ে, তাহলে চোখ পরীক্ষা করে প্রয়োজনমতো চশমা ব্যবহার করা দরকার। কোনো মানসিক চাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ কিংবা চিকিৎসাও করাতে হবে।
কনজাংটাইভ বা চোখের সাদা অংশের প্রসারিত রক্তনালীগুলোর কারণে অনেক সময় চোখ লাল হয়ে থাকে। ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে চোখের এই যন্ত্রণাদায়ক রক্তনালীগুলো শিথিল করার মাধ্যমে লাল লালভাব দূর করা যেতে পারে। এছাড়াও পরিষ্কার কাপড়ে বরফের টুকরা নিয়ে আক্রান্ত চোখে ব্যবহার করলেও বেশ উপকার পাওয়া যায়।
কর্নিয়ায় ইনফেকশন হলেও ব্যথা হয়, তখন চোখে অস্বস্তি বোধ হয়। যারা কনটাক্ট লেন্স ব্যবহার করে থাকেন, তাদের এই ইনফেকশন বেশি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
চোখে কিছু ঢুকলে তা যতো ছোটই হোক না কেনো অস্বস্তি হবেই। তবে দানাদার, রাসায়নিক, ধোঁয়া ইত্যাদিতেও চোখ ব্যথা হতে পারে। সাধারণত ভালো করে পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করে ফেললেই সমস্যাটি চলে যায়।
অপরদিকে গ্লুকোমা চোখের একটি রোগ, এতে প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। চোখের অভ্যন্তরীণ চাপ বেড়ে গিয়ে রোগটি দেখা দেয়। এর লক্ষণ হিসেবে থাকতে পারে তীব্র চোখ ব্যথা, বমি হওয়া ও বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া ইত্যাদি নানা উপসর্গ। দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসা না করালে এই রোগ থেকে অন্ধত্বও হতে পারে।
চোখের নার্ভের প্রদাহ হলেও অনেক সময় চোখে তীব্র ব্যথা হয়। সাধারণত স্ক্লেরোসিস, ইনফেকশন হতে এই রোগটি হয়। এতে দৃষ্টিশক্তিও কমে যেতে পারে। তাই এমন সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।