দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বছর ঘুরলেও করোনা ভাইরাসের প্রকোপ যেনো আরও বাড়ছে। একদিন সবাই ভাবতো হয়তো টিকা এলে করোনার অবসান ঘটবে। কিন্তু মানুষের সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করে আবারও করোনার প্রকোপ বেড়েছে।
বছর ঘুরলেও করোনা ভাইরাসের প্রকোপ যেনো আরও বাড়ছে। একদিন সবাই ভাবতো হয়তো টিকা এলে করোনার অবসান ঘটবে। কিন্তু মানুষের সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করে আবারও করোনার প্রকোপ বেড়েছে।
করোনার কারণে সাধারণ মানুষদের আজ এক হাহাকার দেখা দিয়েছে। দেশে লকডাউন হওয়ার কারণে দিন আনে দিন খায় এমন মানুষদের জন্য দুর্দিন শুরু হতে যাচ্ছে। যে কারণে অনেকেই রাজধানী ছেড়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। কারণ ঢাকাতে থাকলে ঘর ভাড়া এবং নিত্যদিনের খাদ্য জোগাড় করা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। তাই তারা গ্রামের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। সেখানে হয়তো কোনো মতে ডাল-ভাত খেয়ে দিন কাটাতে পারবেন।
শুধু বাংলাদেশ নয়, করোনার থাবা বিস্তার করেছে বিশ্বব্যাপী। কিন্তু আমেরিকাসহ বিশ্বের ধনি রাষ্ট্রগুলো তাদের নাগরিকদের সহযোগিতা করলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন। গত বছর সরকারি সহযোগিতা করা হলেও তা ছিলো একেবারেই অপ্রতুল। তাছাড়া সেইসব সাহায্যও সব মানুষের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারেনি। দুর্নীতির কারণে এমনটি ঘটেছে। যদিও ওইসব দুর্নীতিবাজদের বেশির ভাগই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে শেষ পর্যন্ত।
তবে এবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো সরকারি সহায়তার কথা শোনা যায়নি। তাহলে সাধারণ মানুষ কিভাবে এই লকডাউনের সময়টি পার করবেন?
গত এক বছরে অনেক মানুষ সহায় সম্বলহীন হয়েছেন এই করোনার কড়াল থাবায়। অনেক নিম্ন মধ্যবিত্ত তাদের পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে যেমন টিভি, ফ্রিজসহ এমন অনেক সামগ্রী বিক্রি করে দিন কাটিয়েছেন। এবারও ঠিক একই পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে দেশ। ভয়াবহ করোনার কড়াল গ্রাস থেকে রক্ষা পেতে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া কোনো উপায়ও নেই। কিন্তু সাধারণ মানুষ আজ এই লকডাউনের কবলে পড়ে নি:শ্ব হতে চলেছে। আর কতোদিন এই রকম পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে তা কেও জানেনা।
টিকা এলেও তার কার্যকারিতা এবং এতো বিশাল পরিমাণ টিকা প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছানো একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। সব মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে এই করোনাকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের আগামী দিনগুলো পাড়ি দিতে হবে। সেজন্য সকলকেই শক্ত হতে হবে। যাদের সামর্থ রয়েছে তারা অসহায়দের সাহায্যের মাধ্যেমে এই দিনগুলো আমাদেরকে পাড়ি দিতে হবে। অর্থাৎ আমাদের সকলকে মানবিক হতে হবে। মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।