দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার রমজানে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। সাধারণত অতিরিক্ত গরমে ঠাণ্ডা পানি পানের প্রবণতা আমাদের মধ্যে বেড়ে যায়। ইফতারের সময় ঠাণ্ডা পানি পান আপনার ক্ষতির কারণ হতে পারে।
যেহেতু এখন গরম পড়ছে প্রচণ্ড তাই রোজায় ঠাণ্ডা পানিকে ইফতারের অনুসঙ্গ বানিয়ে নেন অনেকেই। ইফতার হোক কিংবা সাধারণ সময় অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পান করা কখনই উচিত নয়। ঠাণ্ডা পানি পান করার অভ্যাস ডেকে আনতে পারে আপনার জন্য ভয়াবহ বিপদ।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পানে মারাত্মক প্রভাব পড়ে দাঁতের ভেগাস নার্ভের উপর। এই ভেগাস স্নায়ুই হলো আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বেশি ঠাণ্ডা পানি পানের ফরে ভেগাস স্নায়ু উদ্দীপিত হয়ে ওঠে। যে কারণে আপনার হৃদগতি অনেকটাই কমে যেতে পারে।
শরীরচর্চা কিংবা ওয়ার্কআউটের পর ঠাণ্ডা পানি পান করা মোটেও উচিত নয়। কারণ হলো ওয়ার্কআউটের পর দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকগুণ বেড়ে যায়। এই সময় ঠাণ্ডা পানি পানে দেহের তাপমাত্রার সঙ্গে বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রা মোটেও সামঞ্জস্য রাখতে পারে না। যে কারণে হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ওয়ার্কআউটের পর যদি সামান্য উষ্ণ পানি পান করেন, তাহলে উপকার পেতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, খাওয়ার পর ঠাণ্ডা পানি পান করা মোটেও ঠিক নয়। ঠাণ্ডা পানি শ্বাসনালীতে অতিরিক্ত পরিমাণে শ্লেষ্মার আস্তরণ সৃষ্টি হয়, যা থেকে সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। প্রতিনিয়ত মাত্রাতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পান করলে তখন রক্তনালী সংকুচিত হয়ে পড়ে এবং স্বাভাবিক পরিপাক ক্রিয়াও তখন বাধাপ্রাপ্ত হয়। যে কারণে হজমে মারাত্মক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই ঠাণ্ডা পানি পানের বিষয়ে সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।