দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে জয় পেয়েছে এই দলটি।
হাড্ডাহাড্ডির লড়াইয়ের পর সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আবারও ক্ষমতার মসনদে বসতে চলেছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূল। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনে বিজেপির শুভেন্দুকে ১ হাজার ২০০ ভোটে হারিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা বন্দোপাধ্যায়।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, রাজ্যের ফল নিশ্চিত হওয়ার পর কালীঘাটের নিজের বাড়ি হতে বেরিয়ে পায়ে হেঁটেই অফিসে ঢুকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও পায়ে চোট থাকার কারণে নির্বাচনী প্রচারসহ সভাসমাবেশে ভোটের আগ পর্যন্ত তাকে হুইলচেয়ারে করেই চলতে দেখা যায়।
ছাত্র রাজনীতির মধ্যদিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিলো। ৬৬ বছর বয়সী মমতার রাজনৈতিক জীবনে ছিল নানা ধরনের উত্থান পতন। তার নেতৃত্বেই পশ্চিমবঙ্গ হতে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটেছিলো।
১৯৫৫ সালের ৫ জানুয়ারি কোলকাতার হাজরা অঞ্চলের এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাবা প্রমীলেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী।
কোলকাতার শ্রীশিক্ষায়তন কলেজ হতে বি.এ ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এম.এ ডিগ্রি অর্জন করেন মমতা। পরে কোলকাতার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজ হতে এলএলবি ডিগ্রী নেন। ১৯৭০-এর দশকে কংগ্রেস আই দলের মধ্যদিয়ে মমতার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ঘটে। ১৯৭৬ হতে ৮০ সাল পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কংগ্রেস আইয়ের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মাত্র ২৯ বছর বয়সে ১৯৮৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র হতে বর্ষীয়ান কমিউনিস্ট নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করে সেই সময় সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে দক্ষিণ কোলকাতা লোকসভা কেন্দ্র হতে ৭ বার জয়লাভ করেন।
রাজনৈতিক জীবনে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের ২ বার রেলমন্ত্রী, ১ বার কয়লা মন্ত্রণালয় ও ১ বার মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং ক্রিড়া ও যুবকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিকাশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৯৭ সালে মমতা কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সর্বভারতীয় তৃণমুল কংগ্রেস গঠন করেন। ২০১১ সালে মমতার নেতৃত্বে তৃণমুল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে পরাজিত করে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।