দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনার এই সময় ঘরের মধ্যে বিশুদ্ধ বা যাকে বলে দুূষণমুক্ত করতে আমরা কতো রকম চেষ্টায় না করি। তবে এবার স্যামসাংয় নিয়ে এলো এয়ার পিউরিফায়ার। যা ঘরের বাতাস দূষণমুক্ত করবে।
দেশের বড় বড় শহরগুলোতে বায়ু দূষণের মাত্রা ক্রমেই বেড়েই চলেছে। সরকার দেশের বায়ুদূষণ রোধে অবৈধ ইটভাটা বন্ধসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করলেও পরিস্থিতি যেনো দিন দিন লাগামহীন হয়ে যাচ্ছে। গত বছর বেশ কয়েক দফায় দিল্লি, লাহোরের মতোই দূষিত শহরকে পেছনে ফেলে রাজধানী ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নগরীর তালিকায় এক নম্বরে উঠে আসে।
চলতি বছরের শুরুতে স্মরণকালের সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল রাজধানী ঢাকার বাতাস। ঢাকার প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সুক্ষ্ম ধূলিকনার (পিএম ২.৫) উপস্থিতি পাওয়া যায় ৩৭৯.৪ মাইক্রোগ্রাম। এমন দূষিত বাতাস মানব স্বাস্থ্যের জন্য চরম হুমকি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এটি ছিলো ঘরের বাইরের খবর। আবার দূষণ রয়েছে ঘরের ভেতরের বাতাসেও। ঘরের ভিতরের বায়ু দূষণ নিয়ে কয়েক বছর আগে বিজ্ঞানীরা তেমন একটা ভাবতেন না, সচেতনও নয় বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায় যে, ঢাকায় ঘরের ভেতরে এবং বাইরের বায়ু প্রায় সমানভাবে দূষিত। অনেকেই ঘরে ধুলোবালি ঢুকবে ভেবে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখছেন। অথচ বাইরের পরিবেশ সম্পূর্ণ খোলামেলা বিধায় সেখানে বায়ুর মান অনেক সময় ঘরের ভেতরের চাইতেও ভালোই থাকে। ঘরের ভেতর বদ্ধ পরিবেশে বসবাস করা একাধিক মানুষের শ্বাসক্রিয়ার কারণে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড, বিভিন্ন গ্যাস, ধূলিকণা বাড়ির ভিতরের বাতাসের গুণমান একেবারে কমিয়ে দেয়।
অপরদিকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারা বিশ্ব জর্জরিত। চলমান লকডাউনে ঘরেই যখন সকলের দিন কাটছে, তখন বাইরের চেয়ে ঘরের ভেতরের দূষিত বাতাসে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। তাই চার দেওয়ালে বন্দি জীবনে জীবাণুমুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে ঘরেই লাগাতে পারেন এয়ার পিউরিফায়ার।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের এয়ার পিউরিফায়ারের মাঝে গুণেমানে সেরা স্যামসাংয়ের এয়ার পিউরিফায়ারগুলো। এর চার ধাপের পরিশোধন প্রক্রিয়াটি ৯৯.৯ শতাংশ অতি ক্ষুদ্র কণা, ক্ষতিকর গ্যাস এবং জীবাণু শোধন করে। এয়ার পিউরিফায়ারগুলোয় অ্যাক্টিভেটেড চারকোল থাকায় অ্যামোনিয়ার মতো দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাসও দূর হবে। থ্রি-ওয়ে এয়ার ফ্লো প্রযুক্তি থাকার কারণে খুব কম সময়ে স্বস্তিদায়ক বিশুদ্ধ বাতাস নিশ্চিত করে এই পিউরিফায়ারগুলো। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সেন্সর থাকায় খুব সহজেই ধূলিকণা এবং গ্যাসসহ পিএম ২.৫ মাইক্রোমিটারের মতো অতি ক্ষুদ্র জীবাণু শনাক্ত করতে সক্ষম এটি। এছাড়াও স্যামসাং এয়ারপিউরিফায়ারের ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে ঘরের ভেতরের বাতাসের মান সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
‘ক্লিন এয়ার ইন্ডিয়া মুভমেন্ট’-এর অন্তর্ভুক্ত আর্টেমিস হাসপাতালের এক গবেষণায় দেখা যায় যে, বায়ুবাহিত রোগের জন্য ঘরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ৩১ শতাংশই দায়ি। ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ থেকে হতে পারে অ্যালার্জি, হাঁপানি, ডিসোনিয়া, রাইনাইটিস, জটিল ফুসফুসের রোগসহ নানা ধরনের ব্যাধি। এছাড়াও করোনা ভাইরাসকেও এখন অনেকে বায়ুবাহিত বলে দাবি করেছেন।
স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রশ্ন যখন আসে, তখন কোনো আপোষ করা চলে না। তাই এয়ার পিউরিফায়ার কিনতে হবে টেকসই এবং ভালো মানের। বাজারে বর্তমানে স্যামসাংয়ের চার ধরনের এয়ার পিউরিফায়ার পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোর মূল্য ২৫,৯০০ হতে শুরু করে ৪৭,৯০০ টাকা পর্যন্ত। এয়ার পিউরিফায়ার কিনলে স্যামসাংয়ের পক্ষ হতে থাকবে বিনামূল্যে ডেলিভারি এবং ইনস্টলেশন সুবিধাও। সেইসঙ্গে রয়েছে ৬ মাসের কিস্তি সুবিধা। এয়ার পিউরিফায়ার এছাড়াও আকর্ষণীয় মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে স্যামসাংয়ের এয়ার পিউরিফায়ার ফিল্টারও।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।