দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকী আজ। যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে দিনটি। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে নীরবেই পালিত হচ্ছে এই দিনটি।
বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে কাজী নজরুল ইসলাম জন্মেছিলেন। তাঁর ডাক নাম ছিলো ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ এবং মাতা জাহেদা খাতুন।
জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবছরই ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। তবে এ বছর করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে না। তবে এই উপলক্ষে আজ (সোমবার) হতে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপি ‘আমিই নজরুল আর্ন্তজাতিক নজরুল উৎসব’। নজরুলের সাম্যবাদ নিয়ে এই আয়োজন করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সংগঠন‘মুক্ত আসর’।
এই উৎসবে বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং পর্তুগাল থেকে ৩২ জন নজরুল গবেষক, লেখক এবং নজরুল সংগীত শিল্পী অংশগ্রহণ করছেন। তাছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার ছাড়াও বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন এবং রেডিও কবির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।
কাজী নজরুল চির প্রেমের কবি, তিনি যৌবনের দূত। তিনি প্রেম নিয়েছিলেন- প্রেম চেয়েছিলেন। মূলত তিনি বিদ্রোহী, তবে তার প্রেমিক রূপটিও প্রবাদপ্রতিম। তাই মানুষটি অনায়াসেই বলেছিলেন ‘আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন খুঁজি তারে আমি আপনায়।’ পৃথিবীতে এমন কম মানুষই রয়েছেন যিনি প্রেমের টানে রক্তের সম্পর্কে অস্বীকার করে, পথে বেরিয়ে পরতে পারেন।
তিনি উচ্চকন্ঠে বলতে পারেন- ‘বল বীর, বল উন্নত মম শির’ অথবা মহা-বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত/ আমি সেইদিন হবো শান্ত/ যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না /অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণভূমে রণিবে না’।
বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে একজন কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক এবং অভিনেতাও। করোনার কারণে অনেকটা নীরবেই পালিত হচ্ছে এই মহিয়সি কবির জন্মজয়ন্তি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।